শেখ হাসিনা পালানোর পর সাভারবাসীর ওপর নেমে আসে স্টিম রোলার
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ছয় ঘন্টা পর সাভারবাসীর ওপর নেমে আসে চরম স্টিম রোলার। বিজয় মিছিলে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর এলোপাথারি গুলিতে নিহত হন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া ৩০ থেকে ৩৫ ছাত্র-জনতা। আহত হয়ে অঙ্গহানি হয়েছে অনেকের।
আবার অনেকেই আমৃত্যু পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আজও কান্না থামেনি নিহতদের পরিবারের। মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছেন স্বজনহারানো পরিবারগুলো। গতবছর সাভারে সংঘটিত ৫ আগষ্টের ঘটনা নিয়ে
রাজধানী ঢাকার উত্তর প্রবেশদ্বার সাভার। শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত এ জনপদে প্রায় অর্ধকোটি মানুষের বসবাস। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে এখানকার ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমিকরা। পুলিশ ও পতিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হয়েছেন প্রায় অর্ধশত প্রতিবাদী তরুণ-তরুণী। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল বের করে।
সাভার বাসষ্ট্যান্ড, পাকিজা মোড়, থানা বাসষ্ট্যান্ড, গেন্ডাবাসষ্ট্যান্ড, রেডিও কলোনী বাসষ্ট্যান্ড ও হেমায়েতপুরসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ দখলে নেয়। 'লং মার্চ টু ঢাকায় অংশ নেয়ায় সকালের দিকে যৌথবাহিনীর হাতে আটকদের ছাড়িয়ে নিতে আনন্দ মিছিলের একটি অংশ থানার সামনে যেতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
বেলা ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ছাত্রজনতা ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনী ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে শত শত রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সন্ধ্যা নামতেই পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে আবার অনেকে হেঁটে গুলি করতে করতে সাভার ক্যান্টনমেন্টের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে সড়ক ও গলি পথে কাতরাতে থাকেন।
ঘটনার এক বছর পরও শহীদদের পরিবারের কান্না থামেনি। সন্তান হত্যায় জড়িতদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন তারা।
মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে বলে জানালেন এপিপি। ৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের প্রত্যাশায় সাভারবাসী।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: