• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

বই পড়ে পুরস্কার পেল চট্টগ্রামের ৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
বই পড়ে পুরস্কার পেল চট্টগ্রামের ৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম মহানগরের ১০৬টি স্কুলের ৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর বই পড়ার অদম্য আগ্রহকে সম্মান জানাল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টার, চট্টগ্রাম থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ উৎসবে  গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় ১০৬টি স্কুলের ৬ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বাংলাদেশী পাখি বিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রী, লেখক ও পর্যটক ইনাম আল হক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম রিজিওনাল হেড মোরশেদ আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চট্টগ্রাম শাখার সংগঠক অধ্যাপক আলেক্স আলিম  এবং অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের সদস্য শামীম আল মামুন

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব শুরু হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমারাই  দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত, সুন্দর ও স্বার্বভৌম আগামীর  বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তিনি আরো বলেন, সমাজের অবক্ষয় হয়েছে নৈতিক শিক্ষার অভাবে। আমরা বই পড়ে  জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবো। এতে করে আমাদের নৈতিক উন্নয়ন হবে এবং সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন ঘটবে।

বাংলাদেশি পাখি বিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রী, লেখক ও পর্যটক জনাব ইনাম আল হক বলেন, আমাদেরকে আনন্দে থাকতে হবে, আনন্দে বাঁচতে হবে। আর আনন্দের জন্য সবাইকে বেশি বেশি বই পড়তে হবে।

গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল হেড জনাব মোরশেদ আহমেদ বলেন-”তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে যেন মানবিক ও মানসিক উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটে, এজন্য গত দুই দশক ধরে এই মহতী উদ্যোগের পাশে আছে গ্রামীণফোন। বই পড়া কর্মসূচিতে আজকের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো বলেন তরুণদের জ্ঞানের বিকাশ এবং মানসিক উৎকর্ষতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই আলোকিত মানুষ গড়ার অংশ হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে বই পড়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরাও গর্বিত।”

সভাপতির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের সদস্য  জনাব শামীম আল মামুন বলেন, যারা বই পড়ে তারা বড় মানুষ হয়। তারা দয়াবান ও বিবেকবান হয়। তোমরা যারা পুরস্কার পাচ্ছো, তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা যতোদিন বেঁচে থাকবো ততোদিন বই পড়বো এই প্রত্যাশা রইলো সবার প্রতি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চট্টগ্রাম শাখার সংগঠক অধ্যাপক আলেক্স আলিম। দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসবে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০৬টি স্কুলের পুরস্কার বিজয়ী ৬ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৯০টি স্কুলের ৫ হাজার ৩৮০ জন সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্কুলের শিক্ষক/সংগঠক পুরস্কার গ্রহণ করেন।  তাদের মধ্যে  জন ছাত্রী ৪০৫০ ও ১৩৩০ জন ছাত্র। মোট স্বাগত  পুরস্কার  পেয়েছে  ৩০৯১ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১৯২৪ জন,  অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮২ জন এবং সেরাপাঠক  পুরস্কার পেয়েছে  ১৩১ জন।

দিনব্যাপী উৎসবের এ বিশাল আয়োজন ও পুরস্কারের বই স্পন্সর করছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: