• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

চাঁদার টাকায় ভারত-মায়ানমার থেকে অস্ত্র আনছে সশস্ত্র গোষ্ঠী: ব্রি. জে. হাসান মাহমুদ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১০, ১১ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৫:১১, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
চাঁদার টাকায় ভারত-মায়ানমার থেকে অস্ত্র আনছে সশস্ত্র গোষ্ঠী: ব্রি. জে. হাসান মাহমুদ

খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেছেন, ভারত ও বার্মা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় রোধে পাহাড়ে চাঁদাকে না বলুন। চাঁদাবাজদের চিনে নিন, ধরিয়ে দিন। দেশের টাকা দেশে রাখুন। 

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সভায় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের সাথে মতবিনিময় সভায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।

রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। সেই চাঁদার অর্থ দিয়ে তারা ভারত, মিয়ানমার ও আরাকান অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে ব্যবহার করছে। 

রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, সেনাবাহিনীর তৎপরতায় খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট)-এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এখন আর আগের মতো সক্রিয় থাকতে পারছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তারা সামনে আসতে পারবে না। সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে তাদের আস্তানা ধ্বংস করা হচ্ছে, ফলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাচ্ছে বা সিভিল ড্রেসে চলাফেরা করছে।

ইউপিডিএফ’র জেলার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ঘাঁটি ছিল পানছড়ির লৌংগা যুবনেশ্বর পাড়ায়, যা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজি ও আধিপত্যের রাজনীতির মাধ্যমে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন ও বিদ্বেষ তৈরি করে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, আজ থেকেই চাঁদা দেয়া বন্ধ করুন। কেউ চাঁদা দিতে বললে বলবেন- সেনাবাহিনী নিষেধ করেছে, সব দোষ সেনাবাহিনীর উপর দিন, তবুও চাঁদা দেবেন না। আপনারা যেকোনো সমস্যায় আমাদের জানাবেন, আমরা আপনাদের এবং আপনাদের ব্যবসাকে সুরক্ষা দেব।

তিনি সতর্ক করে বলেন, আপনাদের চাঁদার টাকাই ব্যবহৃত হচ্ছে অস্ত্র কেনায়, যা পরবর্তীতে ব্যবহার করা হচ্ছে আপনাদের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই চাঁদাবাজির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সভায় উপস্থিত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নানা জাতিগোষ্ঠীর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং পার্বত্য অঞ্চলে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: