পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার

পাওনা টাকা নিতে খুলনা থেকে বরিশালে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। ৯ বছরের শিশু পুত্রকে পাশের রুমে আটকে রেখে নগরীর চাদমারি রোডের হোটেল সিটি প্যালেসে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক জসিম ফকির রাজিবকে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এ ঘটনার মূল আসামি আব্দুল মালেক ও তার আরেক সহযোগী জালাল হাওলাদার পালাতক রয়েছেন। ঘটনার শিকার ওই নারী খুলনা বাস করলেও তার বাড়ি বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায়। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় ৩জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তিনি বেনাপোল থেকে কাপড় এনে পাইকারি বিক্রি করেন। সেই সুবাদে বেনাপোলে তার সঙ্গে ঝালকাঠী জেলার নলছিটি থানার মগর ইউনিয়নের কাঠিপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের পরিচয় হয়। পরিচয়ের জেরে ২লাখ ৪০ হাজার টাকার মালামাল বাকি দেন তিনি। সেই সঙ্গে ধার বাবদ দেন ১ লাখ ২০হাজার টাকা। প্রতি মাসে ২০-২৫হাজার টাকা করে তা পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা না করে মালেক ছল-ছাতুরি করতে থাকে। পরে বরিশাল এলে টাকা ফিরিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দিলে ওই নারী গত মাসের ২৮ তারিখে বরিশাল যান।
তিনি বরিশাল গেলে মালেকের ঘনিষ্ঠজন একই এলাকর হারুন ফকিরের ছেলে জসিম ফকির রাজিব তাকে নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের চাদমারি ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে হোটেল সিটি প্যালেসে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার ছেলেকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এরপর রাজিব তাকে পাওনাদার মালেকের কাছে রাত ১১টার দিকে নিয়ে গেলে আব্দুল মালেক এবং জালাল হাওলাদার নামের একজন মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে। তখন তার চিৎকারে স্থানীয় সোহাগ নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে তার সহায়তায় তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। ৫ ডিসেম্বর এ ঘটনায় ওই নারী থানায় অভিযোগ দিলেও তিনি কোনো বিচার পায়নি বলে অভিযোগ করেন। পরে বিষয়টি অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিমের কাছে সাংবাদিকরা তুলে ধরলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: