ফেলনা বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর!

ফাইল ছবি
প্রতিদিন বাসাবাড়ির সংগ্রহ করা ময়লা-আবর্জনা ও অপচনশীল বর্জ্য কিনছে রাউজান পৌরসভা। এই ফেলনা বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করছে তারা। ব্যাতিক্রমী এ উদ্যোগের ফলে কিছু লোকের কর্মসংস্থান হওয়ার পাশাপশি পৌর এলাকাসহ গোটা রাউজান থাকছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব।
চট্টগ্রামের রাউজান পৌর এলাকায় বাসাবাড়ির সংগ্রহ করা ময়লা-আবর্জনা ও অপচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে দুটি পৃথক ধারায় আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার খাবারের উচ্ছিষ্ট, পচা ফলমূলের বর্জ্য প্রতিদিন কুড়িয়ে নেন নারী-পুরুষরা। এসব অপচনশীল বর্জ্য প্রতি বস্তা ২০০ টাকা দামে কিনে নেন মেয়র। নগদ টাকা দিয়ে পচনশীল ও অপচনশীল সব ধরনের বর্জ্য প্রতিদিন কেনায় স্থানীয়রা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
ময়লার ভাগাড় থেকে ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই প্যারোট পোকা উৎপাদন করার পর এটি সহজলভ্য হওয়ায় উপকার হচ্ছে খামারিদের। প্রতি কেজি ৫০ টাকায় কিনতে পারছেন তারা। এরপর বর্জ্যের অবশিষ্ট অংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈবসার। এ ছাড়া প্লাস্টিক, পলিথিনের মতো অপচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিক দানা।
প্রতিদিন সংগ্রহ করা গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা ও অপচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে দুটি পৃথক ধারায় আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন পৌর মেয়র।
এদিকে ফ্লাই প্যারোট পোকার লার্ভা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মাছের খাদ্যে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম মৎস্য কর্মকর্তা ফারহারা লাভলী।
দেশের সকল পৌরসভা ফেলনা বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করার এমন উদ্যোগ নিলে পৌরসভাগেুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে এবং পরিবেশ বান্ধব হয়ে ওঠবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: