দেশে কমেছে রিজার্ভ, বৈদেশিক সহায়তা, রফতানি ও প্রবাস আয়
দেশের চলতি অর্থনীতিতে নেই তেমন কোনো সুখবর। কমেছে রিজার্ভ, রপ্তানি আয়, প্রবাস আয় ও বৈদেশিক সহায়তা। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সরকারের সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ রিজার্ভ রক্ষা করা। পাশাপাশি প্রয়োজন বৈধ পথে প্রবাস আয় বাড়ানো।
বলা হয়, একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাধান সূচকই হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বেশ কয়েক বছর রিজার্ভ ঊর্ধ্বমুখী হলেও গত কয়েক মাস ধরে তা কমছে। ২০২১ সালের আগস্টে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি, সেই রিজার্ভ এখন কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারে। তবে আইএমএফ-এর হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশে নীট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলার। গত দুই বছরে প্রতি মাসেই যেখানে গড়ে ১ বিলিয়ন ডলার করে কমেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে সংকট চলমান, তার পেছনে শুধু আন্তর্জাতিক বিষয়াদিই নয় অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ও জড়িত। দীর্ঘদিনের সমস্যা পুঞ্জিভূত হয়ে বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ কমেছে শিল্প উৎপাদন সূচকও।
অর্থনীতির এই অবস্থা থেকে উত্তোরণকে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে এ জন্য বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স আনা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দিলেন অর্থনীতিবিদরা।
মানুষের সঞ্চয়ের সক্ষমতা বাড়াতে মূল্যষ্ফীতির রাশ টেনে ধরার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: