আফগানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস জয়, নায়ক নাসিম শাহ
শেষ ওভার আর শেষ উইকেটে হার-জিতের দোলাচল। সব মিলিয়ে দুই দেশের ভক্তরাই অপেক্ষা ছিল জয়ের। ছোট্ট একটা ভুলেই হয়ে যাবে পরাজয়। কিন্তু সে ভুলটা করলেন না নাসিম শাহ। বরং দেখালেন বীরত্ব। শেষ পর্যন্ত ছিনিয়ে আনলেন জয়।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ১ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তখনও ইনিংসের ৪টি বল বাকি ছিল। আফগানিস্তান শুরুতে ব্যাটিং করে ১২৯ রান করেছিল। পাকিস্তান ৪ বল হাতে রেখেই সেই রান টপকে যায়।
শেষ ওভারে দরকার পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। হাতে ১টি উইকেট। দুজন বোলার হাসনাইন আর নাসিম শাহ। এর আগে ১৭টি বলে ফিরে গেছেন ৫ ব্যাটার। তাই ফজল হকের বল মোকাবেলা করে জিতবে এমন দুঃসাহস কেউ দেখায়নি। কিন্তু অসাধ্য সেই কাজটি করেন নাসিম।
পরপর দুটি বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। দৌঁড়ে আসেন ড্রেসিংরুমের অন্যান্য ক্রিকেটাররাও। হাত থেকে গ্লাভসটা ছুঁড়ে ফেললেন এমনভাবে, যেন আফগানিস্তানকেই ছুঁড়ে ফেললেন। আর ফেলবেনই বা না কেন? একটু আগেই যে আসিফ আলীকে আউট করে উন্মত্ত হয়েছিল আফগানরা।
মাত্র ৪ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলা নাসিম শাহ হয়তো পাকিস্তানী ক্রিকেট ভক্তদের বেডরুমের পোস্টার হয়ে থাকবেন। বিধ্বংসী বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের শাণিত রূপও দেখালেন আজ। হতে পারেন লাখো তরুণীর ঘুম নষ্টের কারণও।
তবে এই জয়ের পথটা এগিয়ে দিয়ে যান শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ। শাদাব ৩৬ এবং ইফতিখার ৩০ রানে আউট হন। এর আগে রিজওয়ান ফেরেন ২০ রানে। এক সময় মনেও হচ্ছিল ভারতের মতো পাকিস্তানও বুঝি হারলো আফগানদের কাছে। কিন্তু আসিফ আলী আর নাসিম তা হতে দেননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে আফগানরা। হজরতুল্লাহ জাজাই আর রহমানুল্লাহ গুরবাজের ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রান আসে। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফিরে যান ১৭ রানে আর জাজাই ফিরে যান ২১ রানে। করিম জানাত ১৫ রানে ফিরলেও ইবরাহিম জাদরান করেন ৩৫ রান।
মোহাম্মদ নবী কোনো রান না করে ফিরলেও নজিবুল্লাহ ও আজমাতুল্লাহ ১০ করে রান করেন। শেষদিকে রশিদ খান ১৫ বলে ১৮ রান করে দলকে ১২০ রানের কোটা পার করান।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে হারিস রউফ ২টি, হাসনাইন, নাসিম শাহ, নওয়াজ ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট নেন।
ভারতের পর আফগানিস্তাকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো বাবর আজমরা। এর আগে ভারত ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কাও।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: