• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

লাখো দর্শক ভাসলো চোখের জলে, অস্ট্রেলিয়া মাতলো উৎসবে

প্রকাশিত: ০০:০৭, ২০ নভেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
লাখো দর্শক ভাসলো চোখের জলে, অস্ট্রেলিয়া মাতলো উৎসবে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন নীল সাগর। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। অথচ চারদিকে শুনশান নিরবতা। উৎসবের রোঙে রঙিন হতে এসে দর্শকদের চোখে বিষাদের ছোঁয়া। মাঠের ২২ গজে চলছে হলুদ উৎসব। ভারতের চোখের সামনে থেকে বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠবার শিরোপা গেলো তাসমান পাড়ে। 

ভারতের উৎসব মাটি করে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুললো অস্ট্রেলিয়া। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের লাখো দর্শক ভাসলো চোখের জলে। ফাইনালে অজিদের কাছে ভারত ৬ উইকেটে হারালো। 

স্নায়ুর লড়াইয়ে শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ভারতকে অলআউট করেছে ২৪০ রানে। শুরুতে তিন উইকেট হারিয়েও, ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 

এরকমই ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। ছবি- ক্রিকইনফো

বলা হয় সব ভালো যার শেষটা ভালো। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অজেয় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার শুরু প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয় দিয়ে। অথচ দিনের শেষ হাসিটা তাদেরই। 

ফাইনালের শুরুটাও টস জয় দিয়ে করেছে অজিরা। ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে কিছুটা বিষ্ময়ই জাগিয়েছেন প্যাট কামিন্স। উদ্যেশ্য উইকেটের শুরুর আদ্রতা কাজে লাগিয়ে ভারতকে কম রানে বেধে রাখা। আর রাতের শিশির মাখা ঘাসে রান তাড়া করে জয়।

মাঠ ভর্তি দর্শক। ভিআইপি গ্যালারীতে তারার মেলা। অজি বোলাররা প্রথম লক্ষ্য সফল করলেন। ফাইনালের চাপে দলের ৩০ রানে সাঁজঘরে শুভমান গিল। তবে দ্রুত রান তোলা থামেনি রোহিত শর্মার। পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা। ৪৭ শিকার হলেন ম্যাক্সওয়েলের। উইকেটে সেট হওয়ার আগেই সাঁজঘরে শ্রেয়াশ। ১০ ওভারে ৮০ রান উঠলেও ফিরেছেন তিন ব্যাটার।

অজি বোলাররা পেয়ে গেছেন ছন্দ। বিরাট কোহলি- লোকেশ রাহুলের রানে ফেরার লড়াই। ৯৮ বল কোন বাওয়ান্ডারি পায়নি ভারত। কোহলির আরেকটি অর্ধশতক। এই আসরে ৩ সেঞ্চুরি আর ৬ ফিফটিতে ৭৬৫ তার নামের পাশে। তবে বড় অসময়ে প্লেইড অন হলেন তিনি।

কিছুটা ধীর। তবে ভারতের ভরসা হয়ে ছিলেন রাহুল। ফাইনালে পেলেন অর্ধশতক। তিনিও ফিরলেন দলের প্রয়োজনের সময়। শেষদিকে, রানের গতি কমে গেলো। ভারত থামলো ২৪০ রানে। এই বিশ্বকাপ প্রথমবার অল আউট হলো তিরাঙ্গারা।

ষষ্ঠবার শিরোপায় লাগলো হলুদের উচ্ছ্বাস। ছবি- ক্রিকইনফো

স্কোরবোর্ডে যথেস্ট রান নেই। ম্যাচ জিততে চাই দ্রুত উইকেট। দুই পেসার বুমরাহ-শামির প্রানান্ত চেষ্টা। আরো একবার ব্রেক থ্রু শামির হাত ধরে। বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। ফিরলেন ওয়ার্নার। বুমরাহ আগুনে তোপ।           

দ্রুত বিদায় মার্শ ও স্মিথের। গ্যালারীতে তখন সমুদ্র গর্জন। যদিও রিভিও না নিয়ে ভুল করলেন স্মিথ। প্রযুক্তি বললো তিনি আউট ছিলেন না।

তবে শেষ হেড ও লাবুশেন মিলে ভারতের বোলারদের ওপর ঝড় তুললেন। তাদের ১৯২ রানের জুটি। সেমিফাইনালে হাফসেঞ্চুরি। ফাইনালে সেঞ্চুরি পেলেন ট্রেভিস হেড। ১৩৭ করে যতক্ষণে আউট হয়েছেন ততক্ষণে ম্যাচ হাতের মুঠোয়। লাবুশেনের অর্ধশতকে শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার হাতে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: