অবশেষে বিতর্কিত সেই ফাইনালের শিরোপা উঠলো সাগরিকাদের হাতে
নয় দিন পর সাফ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা হাতে পেলো বাংলাদেশ। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে ভবনের মাঠে সাদামাটা আয়োজনে আফিদাদের হাতে তুলে দেয়া হয় ট্রফি।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নাটকীয় ফাইনালে টস কান্ডের পর বাংলাদেশ ও ভারত যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়। সেদিন টুর্নামেন্টের ট্রফিটা দিয়ে দেয়া হয় ভারতকে। টুর্নামেন্টের সেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকা।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র থাকার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। উত্তেজনার টাইব্রেকারেও সমান তালে লড়াই করে দু'দল।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নাটকীয় ফাইনালের টস কাণ্ডের পর বাংলাদেশ ও ভারত যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ে। আর বাংলাদেশ নয় দিন পর আজ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, মেডেল বুঝে পেয়েছে। টুর্নামেন্টের সেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকা।
বাফুফে ভবনের সামনের মাঠে আজকের আয়োজনটি ছিল একেবারে সাদামাটা। জিমের পাশে একটি বোর্ড দাঁড় করিয়ে এবং সামনে ছোট্ট কার্পেট বিছিয়ে সাজ-সজ্জা শেষ।
এমনকি অনুষ্ঠান উপস্থাপনে সাফের এক্সিকিউটিভ কয়েক দফা মাইক নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত খালি গলায় ঘোষণা চালিয়ে যান। চ্যাম্পিয়ন দলের অনেক ফুটবলার এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাই আজ ট্রফি গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ মূলত বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকাময়। দু’টি ম্যাচের জয়ের নায়ক এবং ফাইনালে শেষ মুহূর্তে সমতাসূচক গোলটিও তার। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট সেরা সাগরিকা।
গতি, শটের পাওয়ার ও গোল করার ক্ষমতায় অনেকেই তার মধ্যে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনার ছায়া খোঁজে পাচ্ছেন। দুই জনের পজিশনও প্রায় একই। জুনিয়র সাফের সেরা খেলোয়াড় হয়েও অগ্রজ সাবিনাকে অনেক উপরেই রাখলেন
নারী দলের কোচ হিসেবে প্রথম সাফল্য পেলেন সাইফুল বারী টিটু। তিনিও খানিকটা তৃপ্ত, 'ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, এমন একটা বোঝা ছিল আমার ওপর। চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই দায়িত্বটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আরো ভালো লাগতো।'
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: