গল টেস্ট: বৃষ্টিস্নাত দ্বিতীয় দিনে রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ

মুশফিক ও শান্ত'র জোড়া শতকে গল টেস্টে রানের পাহাড় বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান। আশা জাগিয়েও আরেকটি ডাবল হান্ড্রেড পুরণ হয়নি মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকের। তবে নতুন রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।

শ্রীলংকা সফরে যাওয়ার আগে নতুন শুরুর কথা বলেছিলেন অধিনায়ক শান্ত। সম্প্রতি আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের ব্যর্থতায় লজ্জায় বিবর্ণ হয়ে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। চরম সমালোচিত হন ক্রিকেটাররা। ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে লংকা সিরিজটা বড় পরীক্ষা তাদের জন্য। সেই পরীক্ষায় গল টেস্টের প্রথম দুই দিনে অভাবনীয় ব্যাটিং ঝলক শান্ত ব্রিগেডের।

টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। শান্ত ১৩৬ ও ১০৫ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকা মুশফিক দ্বিতীয় দিনে শতকের ইনিংসটা আরো লম্বা করার দিকে এগিয়ে যান। দারুন খেলতে থাকা এই জুটির ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়তে থাকে টাইগারদের। 

তবে দুর্ভাগ্য শান্ত'র। মাত্র দুই রানের জন্য দেড়শ রান অর্থাৎ 'ড্যাডি সেঞ্চুরির' মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি তিনি। ১টি ছক্কা ও ১৫টি চারে খেলেন ১৪৮ রানের ইনিংস। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ২৬৪ রানের জুটি।

ড্যাডি সেঞ্চুরি'র সাথে বেশ পরিচিত মুশফিক। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২টি শতকের মধ্যে ৭টিতেই দেড়শ রান পার করেছেন তিনি। আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। শ্রীলংকার বিপক্ষেই ২০১৩ সালে প্রথম দ্বিশতক করেছিলেন মুশফিক। এরপর ২০১৮ ও ২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরো দু'বার গড়েন ডাবল'সের কীর্তি। এবারো ড্যাডি সেঞ্চুরি' পার করে চতুর্থ ডাবল হান্ড্রেডের স্বপ্ন উজ্জল করতে থাকেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। নতুন রেকর্ডও গড়েন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি বলও না করা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটার এখন মুশফিক। ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে। 

বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত দ্বিতীয় দিনে লিটন দাসের সাথে মুশফিকের ব্যাটিং রসায়নে ছুটতে থাকে রানের ফোয়ারা। কিন্তু মুশফিকের যাত্রা থামিয়ে দেন ফার্নান্দো। ৩৫০ বলে বেশিরভাগই সিঙ্গেলস খেলা মুশফিকের ১৬৩ রানের ইনিংস সাজানো মাত্র ৯টি চারে। 

ফিফটি পুর্ণ করা লিটনের ব্যাটেও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে দুর্ভাগ্য তারও। নার্ভাস নাইন্টিতে গিয়ে আউট হন তিনি। দলীয় ৪৫৮ তে লিটন ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা ধস নামে সফরকারীদের ইনিংসে। ৯ উইকেটে ৪৮৪ রানে শেষ হয় দিনের খেলা।