ড্র দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত
গল টেস্টে বেশিরভাগ সময়ই চালকের আসনে ছিলো বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমদের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছিলো টাইগাররা। তবে শ্রীলঙ্কা গলের ব্যাটিং স্বর্গে ভালোই জবাব দিয়েছে। সফরকারীরা ১০ রানের ছোট লিড পেয়েছিলো। সেটার সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসেও শান্তর দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংস ঘোষণার সাহস পায় বাংলাদেশ। তখনও দিনের খেলার ৩৭ ওভার বাকি ছিলো। তবে টাইগাররা এই সময়ে লঙ্কানদের ৪ উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি। ফলে ড্র দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পা রাখলো বাংলাদেশ।
গলে আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৯৫ রান করেছিলো বাংলাদেশ। জবাবে ৪৮৫ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। ১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এরপর শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেট ৭২ রান করলে ড্র মেনে নেয় দুই দলই।
২৯৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলো শ্রীলঙ্কা। তবে হিতে বিপরীত হয়েছে। দুই ওপেনার দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উল্টো দ্রুত সাজঘরে ফিরেছেন। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে তাইজুলকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে শট চেক করেন লাহিরু উদারা। তবে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলের লাইনে যেতে পারেননি তিনি। লিটন দাস বল ধরে দ্রুতই উইকেট ভেঙেছেন। ১৩ বলে ৯ রান করে লাহিরু বিদায় নিলে ভাঙে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এক বল পরই ফিরেছেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। নাঈমের বলে শান্তর হাতে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ২৪ রান। পঞ্চম দিনের চা বিরতির আগে পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ বিরতি থেকে ফিরে আর দুই উইকেট নিতে পেরেছে।
এর আগে ৫ম দিনের খেলার শুরুতে ১৮৭ রানের লিড ছিলো বাংলাদেশের। অপরাজিত ছিলেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনের এদিনের শুরুটা ছিলো সাবধানী আর ধীরগতির। সেখান থেকে অবশ্য বাংলাদেশ খুব একটা পিছিয়েও ছিলো না। লাঞ্চের আগে বৃষ্টি হানা দেয়। তার ঠিক আগের বলে মুশফিক রানআউট হন ৪৯ রানে। শান্ত তখন সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে।
এই একটা সেঞ্চুরিই শান্তর নাম তুলতে পারতো বৈশ্বিক কিংবদন্তিদের রেকর্ডে। তাই সাবধানী হয়েই খেললেন শান্ত । ১১ রান করতে খরচ করেছেন ২২ বল। তবে অপরপাশে স্পিনের দুর্দান্ত সুইংয়ে বোকা হয়ে ফিরতে হয়েছে লিটন কুমার দাস এবং জাকের আলী অনিককে। এরপর নাইম সঙ্গ দিয়েছেন দারুণভাবে। সেঞ্চুরির পর শান্তও ছিলেন আগ্রাসী।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে লঙ্কানদের জন্য ২৯৬ রানের লক্ষ্য দাড়ায়।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: