আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে বাংলাদেশি জুটি জুমার-ঊর্মির পদক জয়
আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠে আগেই ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন আল আমিন জুমার-ঊর্মি আক্তার জুটি। তবে ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জে স্বর্ণ জিততে পারেননি এই জুটি। আজ শনিবার মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে মালয়েশিয়ান জুটি দাতু আনিফ ইসাক ও ক্লারিসা সানের কাছে হেরে গেছেন তারা।
প্রথম সেটে লড়াই করলেও, পরের সেটে আর পেরে ওঠেননি। ২৭-২৫ ও ২১-১৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে রৌপ্য জিতেছেন তারা।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের কারণে ফাইনালে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
ফাইনালে ওঠার কারণে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের মিশ্র দ্বৈতের তারকা জুটি জুমার-ঊর্মি। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন দুজনকে পাঁচশত করে মোট ১ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন। একই সঙ্গে শাটলারদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশী কোচসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
ফাইনাল শেষে আল আমিন জুমার বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটা যেমন আনন্দের, তেমনি চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে একটু তো খারাপ লাগছেই। ওরা আমাদের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা ট্রেনিংয়ে অনেক এগিয়ে। সেদিক থেকে আমরা কিছুটা হলেও পিছিয়ে। একক, দ্বৈত এবং মিশ্র দ্বৈত তিন বিভাগেই আমি খেলেছি। আমি কোনো ক্লান্তি অনুভব করিনি, আনন্দ নিয়েই খেলেছি। এবার পারিনি, ভবিষ্যতে অবশ্যই দেশের জন্য স্বর্ণ পদক জিতে আনব।
ঊর্মি আক্তার জানান, ‘এসএ গেমসকে সামনে রেখে আমরা যে তিন মাসের ট্রেনিংয়ে ছিলাম, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে। ওই কারণেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি। ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন, বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই। আমরাও যদি ওদের মত সব ধরনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আরও অনেকদূর যেতে পারতাম।’
মিশ্র দ্বৈতের পাশাপাশি আজ আরও চারটি ইভেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ এককে দুই ভারতীয়র লড়াইয়ে মেইরাবা মাইসনাম ২১-৭ ও ২১-১২ পয়েন্টে নুমাইর শাইককে পরাজিত করেন। নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হন যুক্তরাষ্ট্রের ইসিকা জয়সোয়াল। ভারতের তানভি রেড্ডিকে ২২-২০, ২১-২৩ এবং ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করে স্বর্ণ জেতেন ইসিকা। পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে ভিয়েতনামের ড্যাং খাহ-ট্রান হোং জুটিকে ২১-১৯ ও ২১-১২ পয়েন্টের ব্যবধান হারান ভারতের নিরঞ্জন-রুবান কুমার জুটি।
সবশেষ নারী দ্বৈতের ফাইনালে থাইল্যান্ডের পাত্থারিন- সারিসা জানপেং জুটির কাছে মালয়েশিয়ার গ্যান মিন-তান জিং জুটিকে ২১-৭, ২০-২২ ও ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করেন।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: