• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দুর্দান্ত জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ইতিহাস লিখলো বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১৯ মার্চ ২০২২

আপডেট: ০৯:৩০, ১৯ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
দুর্দান্ত জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ইতিহাস লিখলো বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের নামে লেখা হলো নতুন এক ইতিহাস। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অধরা জয়ের আক্ষেপ ঘুচলো বাংলাদেশ দলের। এর আগে সেখানে খেলা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কোনো ম্যাচই জেতেনি টাইগাররা। তিন ফরম্যাটে ১৯ ম্যাচ খেলে পরাজয় সবকটিতে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলা ১৪ ওয়ানডের কোনোটিতেই জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ দল। সেই আক্ষেপ ঘুচলো এবার। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ বছর আগের প্রথম প্রোটিয়া সফরের গল্পটা ভিন্ন। পাঁচ বছর আগের গল্পও ভিন্ন। এবারের সফরের গল্পটা অনন্য।বদলে যাওয়া, লড়াকু, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ওয়ানডে দল নিয়ে তামিম-সাকিবরা দক্ষিণ আফ্রিকা জয় করেছেন। ব্যাটে তিনশ'র বেশি রান, বল হাতে প্রোটিয়াদের অলআউট করে তুলে নিয়েছেন ৩৮  রানের দুর্দান্ত জয়। গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে যেকোন ফরম্যাটে প্রথম জয়ের কীর্তি।

দিনের শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তারা যোগ করেন ৯৫ রান। অধিনায়ক তামিম ফিরে যান ৪১ রান করে। তার সঙ্গী লিটন ৫০ রান করে বোল্ড হন। এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম (৯)। ওই চাপ সামাল দেন মানসিক অবদাসের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে না চাওয়া সাকিব। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ইয়াসির রাব্বি ১১৫ রানের জুটি গড়েন। সাকিব ফিরে যাওয়ার আগে ৬৪ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৭৭ রান করেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে ৪৪ বলে  প্রথম ফিফটি (৫০) তুলেই ফিরে যান ইয়াসির। শেষ দিকে আফিফ হোসেন ১৩ বলে ১৭, মাহমুদুল্লাহ ১৭ বলে ২৫ ও মেহেদি মিরাজ ১৩ বলে ১৯ রান করেন।

জবাব দিতে নেমে পেসার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারায়। দলীয় ১৮ রানে ওপেনার জানেমান ম্যালানকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল। এরপর তাসকিন নবম ওভারে তুলে নেন কাইল ভারায়েনে (২১) ও এইডেন মার্করামকে (০)।

এরপর তিনে নামা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও পাঁচে নামা রেসি ভ্যান ডার ডুসন ৮৫ রানের দারুণ জুটি গড়েন। শরিফুল ইসলাম ৩১ রান করা বাভুমাকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন। ক্রিজে আসা ডেভিড মিলারকে নিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ডুসন। তারা ৭০ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচ তখন ভারসাম্যপূর্ণ।

এমন সময় নিজের শেষ ওভার করতে এসে দলের সেরা ব্রেক থ্র দেন তাসকিন। তিনি ফেরান ভ্যান ডার ডুসনকে। প্রোটিয়া ব্যাটার খেলেন ৯৮ বলে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস। নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন। তারপরও ভয় ধরাচ্ছিলেন ডেভিড মিলার। তিনি চার-ছক্কায় কাঁপন তুলছিলেন টাইগার ভক্তদের মনে। ৪৬তম ওভারে মিরাজ তাকে ফেরাতেই ম্যাচ টাইগারদের পকেটে চলে আসে।

ডেভিড মিলার খেলেন ৫৭ বলে তিনটি ছক্কা ও আটটি চারে ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ পর্যন্ত সাত বল থাকতে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ দলের হয়ে তাসকিন তিনটি, শরিফুল দুই উইকেট দখল করেন। বল হাতে প্রাটিয়াদের গলার কাঁটা ছিলেন মেহেদি মিরাজ। তিনি ৯ ওভার বল করে ৬১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: