• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জট খুলছে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের, পিছু নিয়েছে সেই পুরনো বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ১০ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
জট খুলছে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের, পিছু নিয়েছে সেই পুরনো বিতর্ক

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জট খুলছে এবার। ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আট বছরের এই পুরস্কার দেয়া হবে একসঙ্গে। আগামীতে নিয়মিত এ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তবে এবারও ক্রীড়াঙ্গনের মূল্যবান পুরস্কারের জন্য তৈরী করা তালিকা নিয়ে চলছে বিতর্ক। এবিষয়ে মনোনয়ন দেয়ার দায় ফেডারেশনগুলোর, এনিয়ে দায়িত্ব নিতে রাজি নন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

দেশের অন্যান্য জাতীয় পুরস্কার দেয়া হয় নিয়মিত। ব্যতিক্রম জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ঢাকার যানজটের মতোই ক্রীড়া পুরস্কার জটও স্বাভাবিক ঘটনা এদেশে। এবার যেমন আট বছরের জমে থাকা পুরস্কার দিচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। অনেকেই পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন পুরস্কারের অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই।

২০১৯ সালে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া জাহিদ আহসান রাসেলকে দিতে হচ্ছে তার পূর্বসূরির আমলের পুরস্কার। তবে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন এই পুরস্কারটা নিয়মিত করার। আগমীবছরের মধ্যে ২০২১ এবং ২০২২ সালের পুরস্কার দেওয়ার চিন্তা রয়েছে। যাতে করে এক বছরের পুরস্কার অন্য বছরে দিতে না হয় সে ধারাবাহিকতায় যেনো ফিরতে পারে তার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

বরাবরের মতো পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা নিয়েও আছে বিতর্ক। আট বছরে ৮৫ জনকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন ছিল মনোনয়ন প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে। জাতীয় দলে বেশিদিন না খেলেও অনেকেই পাচ্ছেন পুরস্কার। আবার একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ভুল তথ্য দেয়ার। ক্রিকেট, ফুটবলে অভিযোগটা কম। বরং বরং ভারোত্তোলন, সাতারসহ অনেক ফেডারেশন থেকে যোগ্যরা অবহেলিত। নাম না জানা অনেকেই পেয়েছেন মনোনয়ন।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, পুরস্কার দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করা হয় তখন ফেডারেশনের মধ্যে যোগ্য সংগঠক এবং খেলোড়ারদের নামের তালিকা চাওয়া হয়। সে সময় ফেডারেশনগুলো যোগ্যদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভুল করতে পারে। ফেডারেশনগুলো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মনোযোগী হলে দুই একজনের বিষয়ে যে কথা উঠে সেগুলো বন্ধ হবে। 

এবার মরণোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন লেফটেনেন্ট শেখ জামাল। তার পুরস্কারটি নেবেন চাচাতো ভাই শেখ জুয়েল।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার মাঝে অনিয়মিত ছিল। জাহিদ আহসান রাসেল শেখ কামালের নামে সেই পুরস্কারটি পুনরায় চালু করেছেন। সেই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা আবার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অর্থমূল্যও এক লাখ টাকা। এই বিষয়টি মন্ত্রীপরিষদ সভায় তোলা হবে বলে জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

বিভি/এএইচ/এইচএস

মন্তব্য করুন: