ভাঙা ঘরে যেন হীরার টুকরা কৃষ্ণা রাণী
কৃষ্ণা রাণী সরকার
টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের উত্তর পাথালিয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠা কৃষ্ণা রাণী সরকারের। যখন ৫ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে তখন স্কুল পর্যায়ে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট থেকে উঠে আসা কৃষ্ণা রাণী সরকারের। স্থানীয় উপজেলা ফুটবলের কোচ গোলাম রায়হান বাপনের মাধ্যমে খেলা প্যাক্টিস করে ঢাকাতে চ্যান্স পায় কৃষ্ণা। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। একের পর এক জয় এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। প্রথম কোচ গোলাম রায়হান বাপন বললেন, কৃষ্ণার এই সাফল্য অনেক আনন্দের ও গর্বের। এই সাফল্য ধরে রাখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ ফুটবলের প্রতি যেনো নজর দেওয়া হয়।
ভাঙ্গা ঘরে যেনো হীরার টুকরা কৃষ্ণা রাণী সরকার। সেই কৃষ্ণা রানীর পায়ের জাদুতেই হেসে উঠলো সমগ্র বাংলাদেশ। ১৬ হাজার নেপালি দর্শকের ‘নেপাল, নেপাল’ চিৎকারটা স্তিমিত হয়ে গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই। গ্যালারির এক কোনায় লাল-সবুজ পতাকা হাতে গুটি কয়েক বাঙালি আনন্দে গর্জে উঠলেন ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ রবে। অল্প কিছু এই বাঙালি সাক্ষী হয়ে রইলেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অনবদ্য এক ইতিহাস জন্মক্ষণে। এই ঐতিহাসিক ম্যাচে জোড়া গোল করে কৃষ্ণা রাণী সরকার।
কৃষ্ণার মা নমিতা রাণী সরকার ও বাবা বাসুদেব চন্দ্র সরকার বলছে, এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। এতো আনন্দ পাচ্ছি যা বলার বাহিরে। কৃষ্ণা বিশ্বকাপ জয়ী হবে সামনে এই স্বপ্ন দেখি।
কৃষ্ণার এই আনন্দে আত্বহারা তার জন্মস্থান টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর পাথালিয়া গ্রামের মানুষ ও তার পরিবার। গতকাল সাফ চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয়ী হওয়ায় কৃষ্ণার এলাকাবাসীও এতে আনন্দিত।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক বলেন, অনেক গর্বের বিষয় যে এই উপজেলার কৃতি সন্তান কৃষ্ণা। যখন উপজেলায় আসে তখন কৃষ্ণা ও জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ ছোটন কেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন: