গোলের নেশায় মত্ত ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে কেন ঢিলেঢালা

সংগৃহীত ছবি
কিছুদিন ধরে ব্রাজিলের ফুটবলে শুধুই দু:সংবাদ। ফুটবল সম্রাট পেলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ইনজুরি জরজর দল। গোলের দেখা নেই। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে পরাজয়। একটা ঝড়ের বড্ড প্রয়োজন- একটা হলুদ ঝড়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেলো ব্রাজিলকে। পাওয়া গেলো সেই চিরচেনা সাম্বার ছন্দে। জোগো বনিতোর মাদকতা ছড়িয়ে।
নক আউট ম্যাচ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে পাওয়া গেলো নেইমারকে। ফিরলেন ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসনরা। ফিরলো ক্লাসিক ব্রাজিল- গোল ক্ষুধার্ত ব্রাজিল। আক্রমনের জোয়াড়, ডাকলো গোলের বান। শুরুটা ভিনিসিয়ুসের পা ছুঁয়ে। বুদ্ধিদীপ্ত প্লেসিংয়ে।
প্রথম ম্যাচের ইনজুরি পরের দুই ম্যাচে খেলতে দেয়নি নেইমারকে। দলের প্রাণ ভ্রোমরা ম্যাচে ফিরলেন, গোলও পেলেন। ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টির ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে। ব্রাজিলের পক্ষে পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড ভাঙতে তার চাই আর দুই গোল।
পরের গোলটা ব্রাজিলিয়ান ক্লাসিক। পাসিং ফুটবলের সৌন্দর্যে ভাঙলো কোরিয়ার ডিফেন্স। টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোল পেলেন রিচার্লিসন।
গোলের নেশায় মত্ত ব্রাজিল। তাদের ঠেকানোর সাধ্য কি এশিয়ার সিংহের। সাত মিনিটের ব্যবধান মাত্র। যেন স্কোরশিটে সবার নাম তোলার তাড়া। এবার গোলের খাতা খুললেন লুকাস পাকেতা।
হেক্সা মিশনের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো ব্রাজিল। নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে হলুদ ঝড়ে ভেসে গেলো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরোধ। ৪-১ গোলের বড় জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো সেলেসাওরা। ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচে ফিরেই গোল পেয়েছেন নেইমার। ব্রাজিলের জার্সিতে তার ৭৬তম গোল। পেলের ৭৭ গোলের রেকর্ড ভাঙতে চাই আর দুই গোল। শেষ আটে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।
আরো দুটি সুযোগ এলো প্রথমার্ধে। রিচাকে চতুর্থ গোল থেকে বঞ্চিত করলেন কোরিয়ার গোল প্রহরী।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঢিলেঢালা ব্রাজিল। গোল এলে ভালো না হলেও ক্ষতি নেই। রাফিনহার নিজের গোলের জন্য স্বার্থপর চেষ্টা। আবারো বাধা দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক।
শেষদিকে অনেকটাই গা ছাড়া ভাব। সুযোগ কাজে লাগালো দক্ষিণ কোরিয়া। নিয়ন্ত্রণ নিলো ম্যাচের। ৭৬ মিনিটে পাইক সিউং হো দারুণ গোলে কমলো ব্যবধান। আরো দুবার দলকে বাঁচালেন আলিসন বেকার।
জয় নিশ্চিত। তাই পরীক্ষা নিরিক্ষায় ব্রাজিল কোচ। চার ম্যাচে স্কোয়াডের ২৬ সদস্যই পেলেন খেলার সুযোগ। বড় জয়ে হেক্সা জয়ের পালে লাগলো জোড় হাওয়া। হলুদ ঢেউয়ে রঙিন হলো নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়াম।
মন্তব্য করুন: