২৫০ বছর ধরে একই স্বাদ ঘ্রাণ নিয়ে টিকে আছে যে কাঁচাগোল্লা

সম্প্রতি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী কাঁচাগোল্লা। প্রায় আড়াই শ বছর ধরে একই স্বাদ ও ঘ্রাণ নিয়ে টিকে আছে এ কাঁচাগোল্লা। নাটোরের সীমানা পেরিয়ে এর সুখ্যাতি সারা দেশে তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের মধ্যে জিআই স্বীকৃতি পাওয়া ১৭তম পণ্য নাটোরের কাচাগোল্লা।
জীবনানন্দ দাসের ' বনলতা সেন' এর নাটোরের কথা বললেই যে খাদ্যদ্রব্যটির কথা আসবে অবধারিতভাবে তা হচ্ছে কাচাগোল্লা। ১৭৬০ সালের দিকে রানী ভবাণীর রাজত্বকালে কাঁচাগোল্লার সুখ্যাতি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আড়াইশো বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মিষ্টি, যার সুনাম আজও অব্যাহত।
আত্মীয় স্বজনদের আপ্যায়নসহ কোথাও বেড়াতে যেতে কাঁচাগোল্লা নিয়ে যাওয়া একটা রুচি ও ঐতিহ্যের বিষয় মনে করে নাটোরবাসী। খাঁটি দুধের ছানা ও চিনি কাঁচাগোল্লা তৈরির প্রধান উপাদান। কেজি সাড়ে পাঁচ’শ টাকা। নাটোরে কাঁচাগোল্লার বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ দোকান রয়েছে।
কাঁচাগোল্লার জিআই পণ্যের স্বীকৃতিতে গর্বিত নাটোরবাসী। এ সুখ্যাতি ধরে রাখতে নকল উৎপাদন বন্ধের দাবি কাঁচাগোল্লার আদি ব্যবসায়ীদের।
এই পণ্যটিকে জিআই নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে নাটোরের সাবেক ও রাজশাহীর বর্তমান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের অবদানের কথা স্মরণ করলেন নাটোরের বর্তমান জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।
দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি। এরপর একে একে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, বাংলাদেশি কালিজিরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাত আম, ইলিশ, বাগদা চিংড়িসহ ১৭টি পণ্য জিআই সনদ পায় বাংলাদেশ।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: