• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শারীরিক প্রতিবন্ধতাকে জয় করে তিনশো বেকারের কর্মসংস্থান করেছেন জিতু

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২৮ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৩:২৬, ২৮ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
শারীরিক প্রতিবন্ধতাকে জয় করে তিনশো বেকারের কর্মসংস্থান করেছেন জিতু

শারীরিক প্রতিবন্ধী, অর্থনৈতিক দৈন্যতায়ো হেরে যাননি রংপুরের জিতু রয়। নিজের বুদ্ধিমত্তায় তিনি এখন অনুকরণীয়। সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় তার। কর্মসংস্থান করেছেন তিন শতাধিক বেকার যুবদের। সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

তিন চাকার যন্ত্র বাহনে চরে নিজের গড়া প্রতিষ্ঠানে ছুটে চলেন জিতু রয়। বন্ধু-সহপাঠী, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশিদের অবহেলা-তাচ্ছিল্য জীবনকে গড়েছেন নিজ হাতে। কারো বোঝা না হয়ে মনের ভেতরে নি:শব্দ অদৃশ্য আলোর আল্পনা আঁকতেন। আবহ সঙ্গীতের মতো ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তার বহিপ্রকাশে জিতু এখন জীবনযুদ্ধে জয়ী। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন শত-শত মানুষের। 

জিতুর জীবন চলার পথটা ছিলো অস্বাভাবিক। জন্মের তিন বছরের মাথায় পোলিয় আক্রান্ত হন। অভাবের সংসারে ছিলো শুধু দীর্ঘশ্বাস। বাবার ঘারে ভর করে চলা ছেলের এগিয়ে যাওয়ার কষ্ট এখনও কাঁদায়।

নগরির ডিমালায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৮ শতক জমিতে গড়ে তোলেন দু’টি কারখানা। স্থানীয় গৃহিনী ও বেকার যুবদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করেন শিশু পোশাক, হস্তশিল্প ও নকশিকাঁথাসহ আরো বেশ কিছু পণ্য। ডিজিটাল প্লাটর্ফমে বিক্রি করছেন দেশজুড়ে। কাজ করতে পেরে খুশি কর্মীরাও।

২০১১ সালে মায়ের জমানো ও বন্ধুর ধারের টাকায় একটি কম্পিউটার দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যুদ্ধ। এক বছরে এই খাত থেকে ৫০০ ডলারের আয় দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গল্পটা তার।
 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: