তাঁত শিল্পকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে এক তরুণ উদ্যোক্তার পথচলা
ছবি: সম্মাননা পুরস্কার নিচ্ছেন মাসুদ রানা
বাংলাদেশের তাঁতের শাড়ি বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রতীক। উৎসবে-পার্বণে, বিশেষ কোনো উপলক্ষে বাঙালি নারীরা এখনো তাঁতের শাড়ি পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে মিরপুরের বেনারসি পল্লীর সুনাম রয়েছে দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও। এখানে কয়েকশো শাড়ির দোকানে জমকালো সব শাড়ির আয়োজন সবার জানা।
আর এই শাড়ী জগতের এক অনন্য নাম পরশমণি বেনারসি শাড়ীজ। পরশমণি বেনারসি শাড়ীজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মাসুদ রানা এক যুগেরও বেশি সময় আগে এ ব্যবসায় যাত্রা শুরু করেন। এরপর শুরু হয় নিরন্তর পথচলা। হারিয়ে যাওয়া তাঁত শিল্পকে নতুন নতুন রূপে আর নতুন আঙ্গিকে সারা দেশে বিশেষ করে প্রতিটি জেলাভিত্তিক শহরে পৌঁছে দেয়ার গল্প। পরশমণিতে রয়েছে বৈচিত্র্যময় সব শাড়ির সমাহার। বেনারসি, কাতান, লেহেঙ্গা, জামদানি ও রেশম সুতায় বুনন করা বাহারি সব শাড়ি জনপ্রিয় হয় দেশ এবং দেশের বাইরে।
অনলাইনে পরশমণি বেনারসি শাড়ীজের প্রচার এতোটাই শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে যে Youtubeও ফেসবুকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিরপুরের এই বেনারসি শিল্পের পরিচিতি আরো বেড়েছে। এই শিল্পে ধারাবাহিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বেনারসি শাড়ীজের কর্নধার মোঃ মাসুদ রানাকে তাঁত শিল্পসহ নানা সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে গুনগত মান বজায় রেখে ও তুলনামূলক সুলভমূল্যে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছি। সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনাই আমার মূলমন্ত্র। মাসুদ রানার মতে, মাতৃভূমিকে ভালোবেসে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করা ও দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই একসঙ্গে কাজ করা জরুরি।
মন্তব্য করুন: