• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

১৩শ সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের অনন্য কীর্তি গড়েছেন ডা. কামরুল ইসলাম (ভিডিও)

সাদ্দাম হোসাইন

প্রকাশিত: ০০:৫২, ১৯ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ০০:৫৩, ১৯ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ

একমাত্র সন্তানের কিডনি প্রতিস্থাপন করে সুস্থ করে তুলেছেন রাজধানীর সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস (সিকেডি) অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের মানবিক চিকিৎসকখ্যাত ডা. কামরুল ইসলাম। সন্তান সুস্থ আছে, চিকিৎসকের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাবা।

শুধু তিনিই নন। ডা. কামরুল ইসলামের চিকিৎসার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে, দেশ-বিদেশে। তাইতো ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা বিভিন্নজনের মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন এই চিকিৎসকের কাছে। বিশেষ করে যাদের কিডনি বিকল হয়ে গেছে এবং আর্থিকভাবে সহায়হীন সেসব রোগীদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে দেশীয় বেসরকারী এই হাসপাতাল। 

সম্প্রতি ১৩০০ রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক ছুঁলো সিকেডি হাসপাতাল। যার নেপথ্যের কারিগর এই চিকিৎসক। মিষ্টভাষী এই চিকিৎসক জানান- কখনও ভাবেননি একটা সময় এমন একটা হাসপাতাল চালাতে হবে। চেয়েছিলেন শুধু দায়িত্ব নিয়ে মানুষের সেবা করবেন। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় সেই সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। আর সেখান থেকেই শুরু করেন এই হাসপাতালের যাত্রা। এরপর একে একে কেটে গেছে ৮টি বছর। এই দীর্ঘ যাত্রায়- হাসপাতালটিতে কিডনি প্রতিস্থাপন অপারেশনের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।

তবে ডা. কামরুল ইসলামের আক্ষেপ- দেশে যে হারে কিডনি রোগী বাড়ছে, তাতে চিকিৎসা সেবা বাড়ছে না। আর এই জন্য রাষ্ট্র এবং সাধারণ মানুষদেরকেও সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

মাত্র ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন এবং নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় প্রতি মাসে ৫০০-৬০০ রোগী আসে এই হাসপাতালে। এই চিকিৎসক জানান-  গরিব রোগীরা কিডনি প্রতিস্থাপনের পর অর্থাভাবে ফলোআপে আসতে চায় না। তাই অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসায় ফলোআপে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসকের পরামর্শ পাবেন রোগীরা। 

পাবনায় জন্ম নেয়া এই গুণী চিকিৎসক ২০২২ সালে চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে ৮টি মেডিকেল কলেজের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বর্ণপদকসহ এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে এফসিপিএস এবং ২০০০ সালে বিএসএমএমইউ থেকে ইউরোলজিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ থেকে এফআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। 

এই দৃশ্যের মতো ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সাদামাঠা এই চিকিৎসক মানুষের সেবায় বেঁচে থাকুক দীর্ঘদিন এমনটাই প্রত্যাশা রোগী ও স্বজনদের।  


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: