এইচআরএফবি’র বিবৃতির নিন্দা জানালো ‘মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত’

হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)-এর সাম্প্রতিক বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। মঙ্গলবার ((৬ মে) এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, এইচআরএফবি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিলুপ্তি এবং ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবিকে ‘অযৌক্তিক, অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়ে দেশের সংবিধান, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মবিশ্বাস ও ইসলামী মূল্যবোধকে অপমান করেছে। অথচ, সংবিধানের ২(ক), ৮(১) ও ৪১ ধারা ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতি রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের ঘোষণা দেয়। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ইসলামের মৌলনীতি পরিপন্থীভাবে পর্দা, পুরুষের অভিভাবকত্ব ও শরিয়াহভিত্তিক পারিবারিক বিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। কুরআনের ভাষায়, ‘পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক ও রক্ষক।’ (সূরা নিসা: ৩৪)। ইসলামই নারীর প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে, যা তথাকথিত পশ্চিমা নারীবাদ কখনোই দিতে পারেনি (সূরা বাকারা: ২২৮)।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমানের ঈমানী দাবি এবং এটি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতেও একটি গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ। কুরআন ও হাদীসে ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এইচআরএফবি যেন দেশের ৯২% মুসলমানের বিশ্বাস-আকীদার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের বিবৃতি প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তা না হলে জাতি তাদের প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান, অবিলম্বে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং তার সুপারিশ বাতিল করুন এবং ইসলাম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষায় যথাযথ আইন প্রণয়ন করুন। ধর্ম ও শরিয়তের বিরুদ্ধে কোনো সংস্কার চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার সংশ্লিষ্টদেরই নিতে হবে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: