বৈষম্য নিরসনে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ছবি: ফাইল ফটো
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সংগ্রামীরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে তৌফিক শাহরিয়ারের নেতৃত্ব ১৩ জন ছাত্রের একটি দল বাংলাদেশ সচিবালয়ে যায় এবং অর্থ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নিকট স্মারকলিপিটি জমা দেয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়- ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কর্মরত সিনিয়র মোস্ট কর্মকর্তা (নবম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের) মো. শামসুল আলম বিগত ১৮ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার। তিনি জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণ আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। তার প্রচার প্রচারণা এবং লেখালেখি এই গণআন্দোলনের শক্তি জোগায়। এমনকি তিনি ‘৩৬ জুলাই’ থিমটির প্রবক্তা। এতদসত্বেও তিনি ৯ মাস ধরে এখনও বঞ্চিত হয়ে আছেন। তার ওপর চলমান এই বৈষম্য আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
জানা গেছে, জনাব শামসুল আলম ৫ আগস্টের পরে রাষ্ট্রপতির আদেশে চাকরিতে পূণর্বহাল হন এবং ২০২২ সাল থেকে তাকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি সামারি অনুমোদন করেন। অথচ অদ্যাবধি তার পদোন্নতি কার্যকর না করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে কিছু আমলা।
আমরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও আহতরা, আমাদের আন্দোলনের সাথী জনাব শামসুল আলমকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি কার্যকর করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও তার দীর্ঘ ১৮ বছরের বঞ্চনার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ বছর চাকরি বর্ধিত করে দেশসেবার সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশিদের নিকট স্মারকলিপি প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া, জনপ্রশাসন সচিব মোখলেসুর রহমান, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি, অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান চৌধুরী, লেজিসলেটিভ সচিব আবদুল হাফিজ।
বৈঠক সূত্র জানায়, সেখানে বিস্ময়করভাবে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় ছাত্ররা তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই স্থান ত্যাগ করেন।
মন্তব্য করুন: