• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকায় মহানবী কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.)-কে স্মরণ 

প্রকাশিত: ২২:২৪, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ঢাকায় মহানবী কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.)-কে স্মরণ 

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কন্যা হজরত ফাতিমা (রা.)-এর স্মরণে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কবি নজরুল ইসলাম ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকাস্থ আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধির দফতর ও বাংলাদেশ ইমামিয়া উলামা সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় ‘হজরত ফাতেমা যাহরা (রা.) এর  ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার বিভিন্ন দিক’ নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ড. জালিল রাহমানি জাহানাবাদী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম গাউস কাদেরি ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইমামিয়া উলামা সোসাইটির মহাসচিব ড. আব্দুল কুদ্দুস বাদশাহ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বি করেন ইরানের আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. আনোয়ারুল কবির।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজ আমরা এমন এক মহিয়সী নারীর স্মরণে এখানে উপস্থিত হয়েছি যিনি বিশ্বের সকল নারীর বিশেষ করে মুসলিম নারীদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ। যার আবির্ভাবে পৃথিবী বেহেশতের সুবাতাসে আন্দোলিত হয়েছিল। আর এই আসারণ ব্যক্তিত্ব হলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চোখের মণি, কলিজার টুকরা ফাতেমা যাহরা (রা.)। যিনি ছিলেন রাসূলে খোদার শিক্ষা ও আদর্শের অনুপম প্রতিচ্ছবি। তিনি এ পৃথিবীতে এসেছিলেন বেহেশতের খুশবু নিয়ে। তার নূরের আভায় আলোকিত হয় পৃথিবী। মহান স্রষ্টা তাঁর শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে তাকে বিশ্বের নারীকুলের জন্য আদর্শ হিসেবে পেশ করেছেন ।

রাসুলে খোদা (সা.) তার সম্পর্কে বলেছেন, আমার কন্যা ফাতেমা জগতের নারীদের নেত্রী। সে আমার দেহের অংশ, আমার চোখের আলো, আমার আত্মার ফসল, আমার বক্ষের মধ্যে আমার প্রাণ। মানবকুলের সুন্দর আদর্শ। সে যখন মেহরাবে রবের সামনে নামাজে দাঁড়ায় তখন তার নূর আকাশের ফেরেশতাদের আলোকিত করে, যেভাবে আকাশের নক্ষত্র পৃথিবীকে আলোকিত করে।

বক্তারা আরও বলেন, হজরত ফাতেমার জীবনী আজকের নারীদের শেখায় যে, তাকওয়া, প্রজ্ঞা ও পবিত্রতা বজায় রেখে নারীরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। কারণ, তিনি নারী হিসেবে পরিবারে স্ত্রী ও মাতার মূল ভূমিকাকে ক্ষুণ্ণ না করেই তার সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। হজরত ফাতিমার জীবনী ছিল ঈমান, নৈতিকতা, ধৈর্য, সাহস ও ভালোবাসার এক সমন্বয়, যা বর্তমান সময়ের নারীদের সমাজে সক্ষম ও কার্যকর ভূমিকা পালনে অনুপ্রাণিত করতে পারে। হজরত যাহরার (রা.) এই শিক্ষাগুলো নারীরা তাদের জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঘর থেকে সমাজ সকল স্থানে প্রভাব রাখতে পারেন। আজকের নারীরা হজরত ফাতিমার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে পারিবারিক দায়িত্ব ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারেন, সন্তান প্রতিপালনে সফল হতে পারেন এবং সমাজে সক্রিয়, নৈতিকতাসম্পন্ন ও প্রভাবশালী উপস্থিতি রাখতে পারেন। 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2