মিয়ানমারমুখী অশনি, তবে ঝুঁকিমুক্ত নয় কক্সবাজারঃ আবহাওয়া অফিস

বঙ্গোপসাগরে এখনও গভীর নিম্নচাপ আকারেই রয়েছে অশনি। তবে গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ পেতে পারে সেটি। এখন পর্যন্ত নিম্নচাপটির যেই গতি দেখা যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের দিকে আসার শঙ্কা কম। কিন্তু সামান্য গতি পরিবর্তন হলেই এটি কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল ছুঁয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান। 

সোমবার (২১ মার্চ) রাতে বাংলাভিশনকে তিনি একথা বলেন।

ড. আব্দুল মান্নান বলেন, এখনও যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ে রূপ পায়নি আমরা সেটিকে গভীর নিম্নচাপই বলছি। তবে রাতেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে যাবে। বর্তমান অবস্থা যেমন আছে সেই গতিতে এগুলে এর একটি অংশ আগেই ঢুকে যেতে পারে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলে। তবে কোনো কারণে যদি একটু পরিবর্তন হয় এবং মূলসহ একসাথে আগায় তাহলে বাংলাদেশের টেকনাফ উপকূলও আঘাতপ্রাপ্ত হবে। এবং সেটি বড় ধরনেই আঘাত হতে পারে।

পরিস্থিতির বিবেচনায় এখনই নিরাপদ না ভেবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর সাবধানতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।

এর আগে এদিন সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগ এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মধ্যরাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।  গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের নিকটে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।