• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টি

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ১৭ জুন ২০২২

আপডেট: ১৮:৫৬, ১৭ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টি

সুনামগঞ্জে চেরাপুঞ্জির ঢলের পানিতে ভেসে যাচ্ছে সড়ক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে তিন দিনে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা ১২২ বছেরর মেধ্য সর্বোচ্চ। ওই বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সব কটি জেলায় প্রবেশ করেছে। ফলে সুনামগঞ্জসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, আগামী তিন দিন উজানে ভারতীয় অংশে ও বাংলাদেশ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদী তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও দ্রুত বাড়ছে। এর মধ্যে তিস্তা অববাহিকার চারটি জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। যে কারণে এসব অঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে বলে মনে করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ব্রহ্মপুত্রের পানি যমুনা দিয়ে নামার সময় তিন–চার দিনের মধ্যে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল পর্যন্ত বন্যার পানি চলে আসতে পারে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। টেলিফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে ও দুর্ঘটনা এড়াতে পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সিলেট বিভাগ কার্যত সারা দেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলা যায়।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলা হয়েছে, চেরাপুঞ্জিতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের উজানে আসামে গুয়াহাটিতে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। ওই দুই এলাকার ভাটি এলাকা হিসেবে বাংলাদেশের সিলেট ও কুড়িগ্রামে ওই পানি নামা শুরু করবে। এর সঙ্গে নতুন পানি যোগ হয়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হিসাবে, আজ সকাল থেকে সিলেট বিভাগের সব কটি নদ–নদীর পানি ও উত্তরাঞ্চলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। দেশের বিভিন্ন নদ–নদীর ১০৬টি পয়েন্টের মধ্যে ৮৬টির পানি বাড়ছে, ২০টির কমছে।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: