আরও ২৪ ঘণ্টা চলবে অতিভারী বর্ষণ
প্রতীকী ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গেল কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে বৃষ্টিপাত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সব জেলায়ই বর্ষণ অব্যাহত ছিল। কোথাও কোথাও হয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, শুধু বরিশালেই গত ৫৪ ঘণ্টায় ঝরেছে ৪২৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি।
এই যখন অবস্থা তখনও আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আরও ২৪ ঘণ্টা চলবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে দেওয়া আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়। তবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় (৩ দিন) বৃষ্টিপাত প্রবনতা কমে আসবে বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এই সময়ে সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত প্রবনতা কমে আসবে বলেও জানানো হয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, এই সময়ে দেশে সর্বোচ্চ ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। নোয়াখালীর হাতিয়ায়ও হয়েছে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি। দেশের সব জেলায়ই বৃষ্টি হয়েছে, সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত ছিল রংপুরে ১০ মিলিমিটার। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হাতিয়া ও রাজারহাটে ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ শ্রীমঙ্গলে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে এবং আগামীকাল ভোরে সূর্যোদয় ৫টা ৪৪ মিনিটে হবে বলেও আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: