সাতক্ষীরায় পুকুরে গলদা চিংড়ির রেণু উৎপাদনে সাফল্য
পুকুরে গলদা চিংড়ির রেণু উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কয়েকজন মৎস্য চাষি। মৎস্য বিভাগ বলছে, এখানকার উৎপাদিত রেণু নদী বা বিদেশ থেকে আসা রেনুর তুলনায় দামে কম ও মানসম্মত। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে রেণুর চাহিদাও বেড়েছে।
পুকুরে চিংড়ির রেনু উৎপাদন করছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নীলকন্ঠপুর গ্রামের মৎস্য চাষি আব্দুর রশিদ। বিভিন্ন ঘের থেকে মা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে রেনু উৎপাদনে সাড়া ফেলেছেন। রশিদ ছাড়াও এ পদ্ধতিতে রেনু উৎপাদন শুরু করেছেন আরও কয়েকজন চাষি। একশ ৭৯টি মা গলদা চিংড়ি থেকে ২০ লাখেরও বেশি রেনু উৎপাদন করেছেন তারা।
চাষিদের সহযোগিতা দিচ্ছে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। এই পদ্ধতিতে গলদার রেনু উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি অবৈধভাবে নদী থেকে রেনু সংগ্রহ ও বিদেশ থেকে আসা নিম্নমানে রেনুর ব্যবহার কমবে বলে মনে করেন মৎস্য কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও রেণু পৌঁছে দেয়া সম্ভব।
দেশে যে পরিমাণ গলদা চিংড়ি চাষ হয় তার ৯৫ ভাগ রেণু অবৈধভাবে নদী থেকে সংগ্রহ করা হয়। বাকিটা চোরাচালানের মাধ্যমে আসে ভারত থেকে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: