• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গরুর মাংসে চাপ কমাতে উটপাখি পালনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
গরুর মাংসে চাপ কমাতে উটপাখি পালনের উদ্যোগ

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাখির প্রজাতি ‘উটপাখি’। প্রাপ্তবয়স্ক একটি উটপাখি ১৬০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। এক বছরের উটপাখিগুলো ১২০ থেকে ১৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। প্রোটিনের তুলনা ও মানের দিক থেকে এই পাখির মাংসের মান অনেক ভালো। ফ্যাট কোলেস্টেরলের পরিমাণ অন্য মাংসের তুলনায় উটপাখির মাংসে কম। তাই উটপাখিকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে মাংসের চাহিদার জোগান দেওয়ার কথা ভাবছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর গবেষকরা। 

বাংলাদেশে উটপাখি সাধারণত চিড়িয়াখানাগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লালনপালন করা হলেও বাংলাদেশের পরিবেশে সম্ভব কি না তা কখনো ভেবে দেখেনি কেউ। সম্প্রতি এদেশের আবহাওয়ায় উটপাখিকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রথমবারের মতো গবেষণার মাধ্যমে উটপাখি লালন-পালন শুরু করেছে ঢাকার সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে গরুর মাংসের পাশাপাশি পাখির মাংস উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন তারা। আফ্রিকা থেকে ২২টি উটপাখি এনে সেগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী করে গড়ে তুলে তা থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আবহাওয়া উটপাখি পালনের জন্য উপযোগী বলে ধারণা পেলেও ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করা যাবে কি না জানতে আরও বছর দেড়েক অপেক্ষা করতে হবে বলছেন গবেষকরা।

গবেষকরা বলছেন, সাউথ আফ্রিকার সংগে বাংলাদেশের আবহাওয়ার অনেকটা মিল থাকায় উটপাখি পালনে একটি সম্ভাবনা দেখছেন তারা। তাই সাউথ আফ্রিকা থেকে কিছু উটপাখি নিয়ে এসেছেন তাঁরা। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে সক্ষম হলে দেশের বিভিন্ন খামারিদের কাছে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য উটপাখি পাঠানোর কথা ভাবছেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে বিএলআরআই এর পোলট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. সাজিদুল করিম সরকার জানান, উটপাখির গোশতের প্রোটিন ও মান অনেক ভালো। ফ্যাট কোলেস্টেরলের পরিমাণ অন্য গোশতের চেয়ে কম। এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হলে দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

বিভি/কেএস/এসডি

মন্তব্য করুন: