তিনটি গল্পের বইয়ের প্রতিটা শব্দের শুরু ‘ক’ দিয়ে!

লেখকের ‘ক’ শব্দের সমাহারে লেখা তিনটি বই
একটি দুটি নয়, ‘ক’ দিয়ে শুরু এমন ২৭ হাজার শব্দের সম্মিলনে তিনটি গল্পের বই। পুরো বইয়ে ‘ক’ দিয়ে শুরু হয়নি এমন শব্দের দেখা মিলবে না একটিও। অবিশ্বাস্য হলেও এই দুঃসাধ্য সাধন করেছেন লেখক ইসমানোক।
লেখকের গল্পের বইগুলোর নামও সব ক-এর সম্মিলনে। বইগুলোর নাম কেষ্ট কবির কষ্টগুলো, কেষ্ট কবির কনফারেন্স এবং কেষ্ট কবি। সাহিত্যের এই রীতিকে বলা হয় টটোগ্রাম সাহিত্য। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলন থাকলেও বাংলায় একেবারেই বিরল। বাংলা সাহিত্যে ব্যতিক্রমী এই রীতি আনতে দীর্ঘ ২৪ বছর পরিশ্রম করতে হয়েছে লেখককে। তাঁর দাবি এই গল্প লিখতে শুধু শব্দই খুঁজেছেন একযুগ ধরে।
‘ক’ দিয়ে এমন ব্যতিক্রমী গল্পের বই সম্পর্কে জানতে অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় প্রকাশনা সংস্থা প্রজন্মের স্টলে ভীড় করেন পাঠকরা। কৌতুহল নিয়ে জানতে চান কিভাবে কিভাবে সম্ভব হয়েছে এমন দুঃসাধ্য সাধন।
কেন ‘ক’ দিয়ে বই লিখলেন জানতে চাইলে লেখক ইসমানোক বাংলাভিশনকে বলেন, ‘আমি ভেবে দেখেছি যতই চেষ্টা করি কখনোই নজরুল, রবিন্দ্রনাথ হতে পারবো না। তারা সাহিত্য অনন্য অবস্থান সৃষ্টি করে গেছেন। এখন আমাকে করতে হলে নতুন কিছু করতে হবে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের ভাষা ঘেটে টটোগ্রাম সাহিত্যের ধারণা নেই। তারপর সিদ্ধান্ত নেই ‘ক’ দিয়ে আমি বাংলা সাহিত্যে টটোগ্রামের যাত্রা শুরু করবো। তবে এটা সহজ ছিল না। আমাকে প্রচুর শব্দ খুঁজতে হয়েছে। ২৪ বছর লেগেছে ৩টি বই লিখতে।’
শুধু শব্দ খুঁজতে ১২ থেকে ১৩ বছর বিভিন্ন গ্রন্থাগারে কাটিয়েছেন বলেও জানান এই লেখক।
ইসমানোক এর বইগুলো প্রকাশ করেছে প্রজন্ম পাবলিকেশন। প্রকাশনা সংস্থাটির প্রকাশক আহমদ মুসা বলেন, ‘বাংলা ভাষায় এটা একেবারেই নতুন। আমাদের স্টলে বইগুলো বেশ সাড়া জাগাচ্ছে। অনেক উৎসুক মানুষ আসছেন বইগুলো দেখতে। যাদের ভালো লাগছে কিনেও নিচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষ জানতে চাচ্ছেন এটা কিভাবে সম্ভব হয়েছে।’
লেখক ইসমানোকের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। ১৯৬৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের সরদার বাড়িতে সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: