জেলখানা ভেঙে বন্দীদের নিয়ে গেল বিক্ষুব্ধ জনতা
শেরপুরে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরে মিছিল করেছে বিক্ষোভকারীরা। শতশত ছাত্র-জনতার সেই মিছিলের একটি অংশ বিকেলে শহরের দমদমা-কালীগঞ্জ এলাকায় জেলা কারাগারের গেট ভেঙ্গে, অগ্নি সংযোগ করে জেলখানা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক বন্দী নিয়ে গেছে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে সে সময় কারারক্ষী ও নিরাপত্তা কর্মীরাও বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতাকে বাঁধা না দিয়ে সাদা পোষাকে সরে যান। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পযন্ত জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম জেলা কারাগারের গেট ভেঙে বন্দীদের ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অফিস ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখন সেনাবাহিনী টেক অব করেছে। তারা বিষয়গুলো দেখবেন।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে শেরপুর সদর থানায় আগুন দেয় বিক্ষোভ মিছিলকারীরা। এসময় থানার পুলিশরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে শুরু হয় ভাংচুর। এ ছাড়া শহরের গোপালবাড়ী এলাকায় ডিসি কোয়ার্টার, নিউমাকেট এলাকায় সদর এএসপি (সার্কেল) অফিস, জেলাপরিষদ, জেলা নির্বাচন অফিস, সোনালী ব্যাংক, জেলা আনসার-ভিডিপি অফিস এবং শহরের রঘুনাথ বাজার, নিউমার্কেট, বুলবুল সড়ক, নৌহাটা, মীরগঞ্জ, নয়ানীবাজার, নবীনগর, নতুন বাস টার্মিনাল, ঢাকলহাটি, নৌহাটা, পাকুড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: