গান আর ৫৩ জাতের ফল দিয়ে নেত্রকোনায় পুলিশের ফল ও বর্ষা উৎসব

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে নেত্রকোনা শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ লাইন্স প্রাঙ্গণের সম্মেলন কেন্দ্রটি যেন হয়ে উঠেছিল দেশি ফলের রাজ্য। স্থায়ী মঞ্চটিতে বড় বড় ঝুড়িতে থরে থরে রাখা ছিল আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, ডালিম, পেয়ারা, কামরাঙা, আমলকি, কলা, বাঙি, তরমুজ, লটকন থেকে শুরু করে বিলুপ্তপ্রায় বেত ফল, ডেউয়া, আতাফলসহ অন্তত ৫৩ জাতের ফল। ফলের রঙে, গন্ধে, স্বাদে এবং বৈচিত্র্যে রীতিমতো মাতোয়ারা হন যোগ দিতে আসা লোকজন।
পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘণ্টা দুই সময় ব্যাপী চলে ফলাহার। সঙ্গে চলে সঙ্গীতানুষ্ঠান। জেলা পুলিশের উদ্যোগে এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। বক্তব্য দেন ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার কানাইলাল সরকার, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সাহেব আলী পাঠান, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল কিবরিয়া চৌধুরী প্রমুখ। এতে পুলিশের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার সহস্রাধিক লোকজন অংশ নেন।
পুলিশ সুপার মির্জা সাহেব মাহমুদ বলেন, মানব সভ্যতার শুরু থেকেই ফল আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের দৈনিক মাথাপিছু কমপক্ষে ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে আমাদের দৈনিক গড় প্রাপ্যতা হচ্ছে অর্ধেকের এরকম। এর বণ্টনও আবার সুষম নয়। ধনীরা বেশি খায়, গরিবদের অনেকেই তা পায় না। সে কারণে এ দেশে অপুষ্টিজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। দেশে ফলের উৎপাদন মৌসুমভিত্তিক। অধিকাংশ ফলেরই উৎপাদন হয় বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে। তাই এই মধুমাসকে বিবেচনা করে ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শুধু জেলা পুলিশ লাইন্স বা কার্যালয়েই নয় ১০টি উপজেলার থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রগুলোতেও মৌসুমী এ ফল উৎসব আয়োজন করা হয়।
উৎসবে যোগদান করে গণমাধ্যমকর্মী পল্লব চক্রবর্তী বলেন, এই উৎসবে এসে আমি অভিভূত হয়েছি। আমার জানামতে জেলায় এই প্রথম এত বিস্তৃত পরিসরে ফল উৎসব হয়েছে। এর সঙ্গে গান থাকায় আরো উপভোগ্য হয়েছে। ৫৩ জাতের ফলের মধ্যে তিনি ১৯ জাতের ফল খেয়েছেন বলে জানান।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: