টানা বর্ষণে মোংলায় তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬শ মৎস্যঘের

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে মোংলা উপজেলার প্রায় সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের। ফলে ওই ঘেরে থাকা অধিকাংশ মাছ ভেসে যাওয়ার অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার দাবি চাষীদের।
স্থানীয় মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ও চাঁদপাই ইউনিয়নের চিংড়ি চাষীরা। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সুন্দরবন, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের মালিকেরা।
মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের মাছ চাষী মাসুদুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিনের টাকা বৃষ্টিতে মৎস্যঘের গুলোতে পানি বেড়ে বেড়ী তলিয়েগেছে। এতে অনেক মাছ বের হয়ে গেছে। এখন নেট জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছি, যাতে মাছ আর বেরিয়ে না যায়। তবে এখনও নদীতে জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় ঘেরের পানি কমছেনা। অনেক টাকার ক্ষতি হওয়ার দাবি এ চাষীর।
চাঁদপাই এলাকার চিংড়ি চাষী আ. রহমান বলেন, মৌসুমের শুরুতেই ভাইরাসে মাছ মরেছে। এরপর এখন বৃষ্টিপাতে ঘের তলিয়ে গেছে। মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছি।
সুন্দরবন ইউনিয়নের বাসিন্দা পলাশ বলেন, সারা বছর ধরেই আমরা বিপদে থাকি। এই ভাইরাস, এই বৃষ্টিপাত, এই ঝড়-জ্বলোচ্ছাস। একের পর এক নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে এখানাকার সাড়ে ৩শ হেক্টর জমির সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে চিংড়ি চাষীদের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে কোন অনুদান আসলে অবশ্যই তা চাষীদের মাঝে বন্টন করা হবে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: