মেঘনায় লালু-পিয়াস গ্রুপের সংঘর্ষে শুটার মান্নান নিহত, আহত একাধিক

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কালীপুরা এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীর একটি অবৈধ বালুমহালের কর্তৃত্ব নিয়ে স্থানীয় দুই সন্ত্রাসী লালু-পিয়াস গ্রুপের সংঘর্ষে লালু গ্রুপের আব্দুল মান্নান ওরফে শুটার মান্নান (৩৮) গুলিতে নিহত ও একই দলের সদস্য হৃদয়বাঘসহ (২৭) কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে মেঘনা নদীতে এই সংঘর্ষ হয়।
গজারিয়া নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই জাহাঙ্গীর আলম খান বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জানান, প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত মান্নানের মরদেহ মেঘনা নদীতে ভাসমান একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ও ইমামপুর এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীর একটি অবৈধ বালুমহালের একক কর্তৃত্ব রয়েছে নৌডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের হাতে। ওই বালু মহালের কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে নিতে ইমামপুর ইউনিয়নের অপর সন্ত্রাসী লালু গ্রুপের সদস্যরা সোমবার ভোরে প্রথমে নয়ন-পিয়াস গ্রুপকে আক্রমনের উদ্দেশ্যে ধাওয়া করলে প্রতিপক্ষ গ্রুপ পিছু হটে। পরে সকাল আটটার দিকে নয়ন-পিয়াস গ্রুপ শক্তি সঞ্চয় করে একাধিক ইঞ্জিন নৌকা (ট্রলার) নিয়ে লালু গ্রুপের সদস্যেদের আক্রমন করে। এ সময় লালু গ্রুপের শুটার মান্নান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ সময় আহত হয় হৃদয়বাঘসহ কয়েক সদস্য।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার আলম আজাদ জানান, ঘটনাস্থলে নৌ-পুলিশের একটি দল রয়েছে। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মান্নান গজারিয়া উপজেলার জষ্ঠীতলা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। ১৮ জুলাই শুটার মান্নান বাঘাইয়াকান্দী মাছ বাজারে শর্টগানের গুলিতে মাছ ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আহত করেছিল।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: