সিজারের পর প্রসূতির পেটে গজ-ব্যান্ডেজ, দায়ভার নিতে নারাজ হাসপাতাল কতৃপক্ষ

অনুমোদন ছাড়াই নামী চিকিৎসাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে রংপুরের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল। প্রায় সময়ই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া যায় এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সিজার হওয়া এক প্রসূতির পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রাখার ঘটনায় সম্প্রতি বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার ক্ষতিপূরণ নয়, ন্যায়বিচার চান ভুক্তভোগী ওই নারী। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট শান্তি পাড়ার সামছুন নাহার রেখা। পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। এক মাস আগেও যিনি পাড়ায় পাড়ায় স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছেন, এখন শয্যাশায়ী নিজেই।
সন্তান প্রসব করতে গিয়ে কোনমতে ফিরেছেন মৃত্যুর মুখ থেকে। রংপুরের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ানের সময় পেটের ভেতরেই গজ ব্যান্ডেজ রেখে দেন চিকিৎসকরা। টানা ৪৩ দিন যন্ত্রণায় ছটফট করেছেন। দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারে সেই গজ ব্যান্ডেজ বের করা হয়।
প্রায় দেড় মাসের তীব্র যন্ত্রণার কথা স্মরণ করে রেখা জানান, সন্তান প্রসবের আনন্দের সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। স্বজনরা এঘটনার বিচার চেয়েছেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক লায়লা হোসনা বানুর দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি স্বীকার করলেও, দায়ভার নিতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি হননি। তবে, ফোনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন হাসপাতালের পরিচালক।
অন্যদিকে, অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: