ভারতের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

ভারতের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এতে করে রংপুরের তিন উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যার আশংঙ্কায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গেলো কয়েক দিন ধরে ওপারের ঢল ও ভাড়ি বৃষ্টি কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯ টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অন্যদিকে সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেলা ১২টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বয়ে যায়। এতে করে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লহ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, টেপামধুপুর ইউনিয়ন এবং পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপচরের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার আশংঙ্কায় অনেকে ঘরবাড়ি নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চর শংকরদহের দুলালী বেগম বলেন, মোর বাড়ির কাছোত নদী ভাঙ্গি চলি আসছে। কয়েক দিন ধরি নদীর পানি ঘরোত আইসে, আবার কমে যায়। শুনছো পানি নাকি আরও বাড়বে। সেই জন্তে কিছু জিনিষ চৌকির উপর তোলা হইলো।
স্থানীয় আনসার আলী জানিয়েছেন, নদীর পানি বাড়া-কমাত ভাঙ্গন শুরু হইচে। সেতু রক্ষা বাঁধ ভাঙ্গতোছে। এলাকার জমিগুলোও তো ভাঙ্গি গেইচে। কতোদিন ধরি শুনি আসতোছি যেন তিস্তা প্রজেক্ট হইবে, কিন্তু হয় তো আর না।
গঙ্গাচড়া লহ্মীটারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির কারণে তিস্তা নদীতে পানি বাড়ছে। আজ দিনভর তিস্তা নদীর পানি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তিনি ইউনিয়নবাসীকে বিষয়টি জানিয়ে দেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে ২’শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সাথে উজানে ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবারও দিনভর রংপুর বিভাগে এবং তিস্তার উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তাই তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: