বাগেরহাটে আসন কমিয়ে ৩টি করার প্রস্তাবে ক্ষোভে ফুঁসছে জেলাবাসি

ফাইল ছবি
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ায় বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রস্তাবে ক্ষোভে ফুঁসছে জেলাবাসি। ইসির ওই ঘোষণার বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে। দ্রুত জেলার চারটি আসন পূণর্বহাল না হলে মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ পুরো বাগেরহাট জেলাকে অচল করাসহ নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় তিন হাজার নয়শ ষাট বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলা নিয়ে ১৯৮৪ সালে গঠিত হয় চারটি সংসদীয় আসন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলার একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশনের বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি।
৩০ জুলাই ইসির এ ঘোষণার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জেলাবাসি। সংসদীয় আসন কমানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক বলে এটি বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জেলার সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন কমিশন আরপিও না মেনে অবৈধ ভাবে জেলার একটি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত দ্রুত বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় তারা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস্তবতা না বুঝে ঘরে বসে এমন প্রস্তাব করা সঠিক হয়নি নির্বাচন কমিশনের।
জনসংখ্যা নয়, অর্থনৈতিক আর আয়তন বিবেচনায় বাগেরহাট জেলায় ৪টি সংসদীয় আসন বহাল চান বাসিন্দারা। তবেই কেবল একজন সংসদ সদস্যের জন্য সম্ভব হবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ অর্থনৈতিক এলাকার উন্নয়ন করা।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: