ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্য

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্য। প্রায় প্রতিরাতেই মহাসড়কের কাচঁপুর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পযর্ন্ত ১৬টি অংশের কোথাও না কোথাও ঘটছে ডাকাতি-দস্যুতা।যানজটকে সুযোগ হিসেবে নেয় ডাকাতরা। তাদের টার্গেট শিল্প কারখানার পণ্যবাহী গাড়ী ও প্রবাসফেরত মাইক্রোবাস। হাইওয়ে পুলিশের অবহেলাকে দূষছেন ভুক্তভোগীরা।
রাত নামলেই ডাকাত আতঙ্ক ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাচঁপুর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পযর্ন্ত এলাকাটি। সোনারগাঁও অংশে মেঘনা টোল প্লাজা থেকে আষারিয়াচর, পিরোজপুর, মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ড, টিপুরদী, দরিকান্দি, লাঙ্গলবন্দর, কেওঢালা, মদনপুর, কাঁচপুর স্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তা ডাকাতির হটস্পট। রাতে গাড়ির চাপ বাড়লে দেখা দেয় যানজট। ডাকাতদের এটিই সুযোগ। চারদিক থেকে ঘিরে চোখের পলকে অস্ত্রের লুটে নেয় মালামাল।
মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়ির পাশাপাশি ডাকাতদের চোখ যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দিকে। কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পযর্ন্ত অংশে রয়েছে বড় বড় শিল্পকারখানা। গুরুত্ব বিবেচনায় কাচঁপরে হাইওয়ে থানা বসালেও ফলাফল তেমন নয়।
গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটিতে একের পর এক ডাকাতি হলেও মিলছে না কোন প্রতিকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও ঢিলেঢালা টহলের কারণে এবং পর্যাপ্ত আলোর অভাবে এই পথে নিয়মিত ঘটছে ছিনতাই, ডাকাতি ও দুর্ঘটনা।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গত এক বছরে ডাকাতির ঘটনা অর্ধ শতাধিক। মামলা হয়েছে ২০টির মতো।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: