ভুয়া তথ্য দিয়ে এনআইডি তৈরির অভিযোগ, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
জাল জন্মনিবন্ধন ও ভুয়া তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে ফেনী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা (সাবেক বন্দর থানার নির্বাচন কর্মকর্তা)মুহাম্মদ আশরাফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক অং টি চৌধুরী।
অভিযুক্তরা হলেন- নগরীর বন্দর থানা সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা (বর্তমানে ফেনী জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে ও আবদুল জলিল ।
দুদকের এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজারের বাসিন্দা আবদুল জলিল বৈধ কোনো নাগরিকত্বের কাগজপত্র ছাড়াই জাল জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং বন্দর থানার তৎকালীন নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। ২০১১ সালের ২২ জুলাই তিনি বৈধ নথি ছাড়া জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি করেন। পরে ২০১৭ সালের মে মাসে আবারও ভুয়া স্বাক্ষর ও জাল সনদ ব্যবহার করে জন্মনিবন্ধন নবায়ন করেন। পরে ওই জাল সনদ ব্যবহার করে নির্বাচন অফিসে ভুয়া তথ্য ও ঠিকানা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের ফর্মে তার পিতা-মাতা, স্ত্রী ও অন্যান্য তথ্যের ঘর ফাঁকা রাখা হয়। একইসঙ্গে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা হিসেবে যে ঠিকানাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোয় তার বসবাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুদকের ফরেনসিক পরীক্ষায় জন্মনিবন্ধনের স্বাক্ষর ও নিবন্ধকের সই জাল প্রমাণিত হয়েছে।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: