সুন্দরবনে বনবিভাগের অভিযানে প্রায় ১০০ কেজি শামুক ও ঝিনুকসহ আটক ৮ 

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের খাল ও চরাঞ্চলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ কেজি শামুক ও ঝিনুকসহ আট জনকে আটক করেছে বনবিভাগের সদস্যরা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের আওতাধীন কঞ্চির খাল এলাকা থেকে চারটি নৌকা ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শামুক ও ঝিনুক গুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। 

আটককৃতরা হলেন, খুলনা জেলার কয়রা থানার ৫নং কয়রা গ্রামের ওয়াজেদ বলী গাজীর ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ গাজী (৪০), মৃত হাজির উদ্দিন সানার ছেলে খলিল সানা (৫৯), আবু তালেব গাজীর ছেলে শফিকুল গাজী (৪৫), মৃত সবেদ আলী গাজীর ছেলে দেলবর গাজী (৫৭), মৃত আবু বক্কর গাজীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৫), ৪নং কয়রা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী গাজীর ছেলে আবু সাইদ গাজী (৫৫), মৃত আরশাদ গাজীর ছেলে গফফার গাজী (৫১) ও সামসুর সানার ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩৪)।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের আওতাধীন কঞ্চির খাল এলাকায় কয়েকজন শামুক ও ঝিনুক কুড়িয়ে তা বিদেশে পাচার করার জন্য মজুদ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগের সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে শামুক-ঝিনুক সংগ্রহের সময় আট জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চারটি নৌকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। তবে, আটক ব্যক্তিদের কাছে মাছ এবং কাঁকড়া ধরার পাশ ছিলো।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা), আইন ২০১২ অনুযায়ী তফসিল-২ এ বর্ণিত শামুক ও ঝিনুক ধরা, পরিবহন ও ব্যবসা করা নিষিদ্ধ। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বনআইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানোর হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত শামুক ও ঝিনুক গুলো সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অবৈধভাবে সম্পদ সংগ্রহ বা পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে বনবিভাগের অভিযানে গত ৭ সেপ্টেম্বর ৬৯০ কেজি, ২৭শে নভেম্বর ৮৬০ কেজি ও ৩রা ডিসেম্বর ৬০০ কেজি শামুক ও ঝিনুক জব্দ করে তার সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়।