পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় দেখা মিলছে না সূর্যের, তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
হিমালয়খ্যাত উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা কারণে বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। টানা চার দিন ধরে হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসে বইছে হাড় কাঁপানো শীত। দিনের অর্ধেক বেলা সূর্যের মুখ দেখা যায় না। বিকাল হতে না হতে হাড় কাঁপানো কনকনে হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১-১২ কিলোমিটার। হাড় কাপানো শীতের দাপট শুরু হয় বিকাল থেকে। এতে জনজীবন বিপর্যয় হয়ে পড়ে। বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও পরে কিছুটা স্বস্তি মিলে।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত চার দিন ধরে তাপমাত্রায় ওঠানামা ছিল। আজ বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ১২ দশমিক ০, রবিবার ১২ দশমিক ৪, শনিবার ১৪ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৮, বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ৫।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, দিনের বেশিরভাগ সময় রৌদ্রজ্জ্বল থাকলেও কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে এই জলীয় বাষ্পগুলি বায়ুমন্ডলের নির্দিষ্ট কোন স্তরে জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। অতঃপর উক্ত জমাট বাধা বরফ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের প্রভাব জমাট বাধা বরফ গলে যায়। তারই ফলশ্রুতিতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়। গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: