তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে রোগী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। টানা কয়েকদিন থেকেই দেখা মিলছে না সূর্যের। কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। জেলায় এই মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে চরম বিপদে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের তাগিদে যারা বের হচ্ছেন তারা আক্রান্ত হচ্ছে নানান অসুখ বিশুখে। জেঁকে বসা তীব্র শীতের সঙ্গে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ। ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। নার্স ও চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন এই. বিপুলসংখ্যক রোগীর চাপ সামলাতে। চিকিৎসকরাও দিচ্ছেন নানান পরামর্শ।
দেশের উত্তর-পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত। টানা কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না একই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল প্রকৃতি। অন্যদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই শীতে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ পড়েছেন বিপাকে। পাচ্ছেন না গরম কাপড়।
সরেজমিনে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের প্রতিটি শয্যায় রোগী। শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। নার্স ও চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন এই বিপুলসংখ্যক রোগীর চাপ সামলাতে। গত কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা আর কুয়াশার কারণে জেলাজুড়ে রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে এই রোগের শিকার হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুস সামাদ জানান, তীব্র শীতের কারণে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং রোটা ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। মূলত, দূষিত পানি ও বাসি খাবারের মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও শুধু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে তিনশ’র অধিক রোগী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা.একেএম শাহাব উদ্দীন বলেন, গত ২ মাসে সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজারের ওপরে। পর্যাপ্ত স্যালাইন এবং ওষুধের মজুদের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ এই চিকিৎসকের।
উল্লেখ্য, তীব্র শীতের কারণে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং রোটা ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: