• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

খুনিদের ফাঁসির দাবিতে শিশু তাসপিয়ার মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ১৪ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
খুনিদের ফাঁসির দাবিতে শিশু তাসপিয়ার মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়ার (৪) মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানার সামনে নিহত শিশুর স্বজন ও এলাকাবাসীরা এই বিক্ষোভ করেন।

কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। পরে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যান।

বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেগমগঞ্জে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। খুনিরা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে করতে প্রশ্রয় পেয়ে গেছে। তারা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।

ওসি বলেন, এই ঘটনায় তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি অতিদ্রুত সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এসময় শিশু তাসপিয়ার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন ওসি।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে পূর্বহাজীপুর গ্রামের ‘মালেকার বাপের দোকান’ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হয় শিশু তাসপিয়া। এসময় তার বাবা আবু জাহেরও গুলিতে গুরুতর আহত হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানায়, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পূর্ব শত্রু তার জেরে একই উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. রিমনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন হাজীপুর গ্রামের মালেকার বাপের দোকান নামক স্থানে মো. মামুনের মুদি দোকানে যান। এরপর মামুনের সাথে তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি করতে দেখে সন্তান কোলে নিয়েই এগিয়ে যান মামুনের মামা সদ্য বিদেশফেরত আবু জাহের। প্রতিবাদ করেন তিনি। এসময় রিমন ও তার সহযোগীরা প্রথমে মামুনকে, পরে আবু জাহেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলির ঘটনায় মামুন অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও তার মামা আবু জাহেরের শরীরে ও তার কোলে থাকা ২ বছর ৯ মাস বয়সী শিশুকন্যা জান্নাতুল ফেরদাউসের মাথা ও মুখমণ্ডলে গুলি লাগে। গুলির পরপরই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এই ঘটনার পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ আবু জাহের ও তার গুলিবিদ্ধ শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কুমিল্লা হাইওয়েতে শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস মারা যায়। মৃত শিশুসন্তানসহ বাবাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে তাসফিয়ার মৃতদেহ নোয়াখালীতে নেওয়া হয় এবং  বাবা আবু জাহের বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

বিভি/এএন

মন্তব্য করুন: