• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

রেলসেতুর নাট-বল্টুর জায়গায় বাঁশের কঞ্চি লাগানো!

প্রকাশিত: ১৯:০১, ১ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
রেলসেতুর নাট-বল্টুর জায়গায় বাঁশের কঞ্চি লাগানো!

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের রেলসেতুতে কাঠের অর্ধেক স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। ওই নষ্ট  স্লিপারের লোহার ক্লিপে নাট-বল্টুর বদলে দেওয়া হয়েছে বাঁশের কঞ্চি। বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

যদিও তড়িঘড়ি করে রেল কর্তৃপক্ষের লোকজন বাঁশের কঞ্চি উঠিয়ে লোহার ক্লিপ বসিয়েছে। তবে এখনো অবস্থা নড়বড়ে রয়ে গেছে। রডের পরিবর্তে বিভিন্ন স্থাপনায় বাঁশের ব্যবহারের মতো রেলসেতুর স্লিপার ক্লিপে নাট-বল্টু দেখা গেলো এবারই প্রথম।

নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে বান্নাঘর মাজার সংলগ্ন এলাকায় খালের উপর নির্মিত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ২১৫ নং রেলসেতু। কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার বান্নঘর এলাকায় ২১৫ নং রেলসেতুর কাঠের স্লিপারের নাট-বল্টু ছিল না। সেখানে দেয়া ছিল বাঁশের কঞ্চি।

শুক্রবার (১ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক স্লিপারে নাট-বল্টু নেই। কোথাও কোথাও ক্লিপগুলো উঠে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে বাঁশের কঞ্চি। সেতুর আশপাশের লাইনেও অনেকগুলো ক্লিপ নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রেল।
 
ব্রিটিশ সরকারের করা ব্রিজটির পাশাপাশি বর্তমান সরকারের আমলে ডাবল লাইন নির্মাণের সময় চট্টগ্রাম অভিমুখী আরও একটি নতুন ব্রিজ করা হয়।

২১৫ নং রেলসেতুর মধ্যে ৪২টি কাঠের ওপর স্লিপার রয়েছে। সেই স্লিপার আটকানো লোহার ক্লিপ থাকলেও পাশাপাশি পুরাতন ব্রিজের অনেকাংশেই লোহার ক্লিপের পরিবর্তে লাগানো হয়েছিল বাঁশের কঞ্চি।  

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এই সেতুতে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করে আসছে। মঙ্গলবার সকালে এগুলো পরিবর্তন করে দিয়েছে রেলওয়ের লোকেরা।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট রেল স্টেশন মাস্টার জামাল উদ্দিন বলেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয়। এগুলো আমাদের দেখার সুযোগ নেই। এগুলো দেখার দায়িত্ব ফেনী পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরের।

এ বিষয়ে রেলওয়ে ফেনী জোনের পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরে রিগন চাকমা বলেন, এতে ট্রেন চলাচলে কোনো ঝুঁকি নেই। এই ঘটনায় আমি লোক পাঠিয়ে ঠিক করে দিয়েছি। 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: