• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

সিজার করা শেষে চিকিৎসক জানালেন গর্ভে বাচ্চা নেই!

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২১:৫৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সিজার করা শেষে চিকিৎসক জানালেন গর্ভে বাচ্চা নেই!

পাবনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন অন্তঃসত্ত্বার অপারেশনের (সিজার) পর গর্ভে বাচ্চা নেই বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। তবে অন্তঃসত্ত্বার নারীর স্বজনদের অভিযোগ সিজারের পর বাচ্চা গায়েব করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন এটি ভৌতিক গর্ভধারণ।

শনিবার রাতে জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতাল রোডের শাপলা প্লাস্টিক মোড়ে অবস্থিত মডেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. শাহীন ফেরদৌস শানুর তত্ত্বাবধায়নে রোগীর অপারেশন (সিজার) সম্পন্ন হয়।

ভুক্তভোগী আকলিমা খাতুন আঁখি। তিনি জেলার বেড়া উপজেলার আমিনপুরের মাসুমদিয়া ইউনিয়নের রতনগঞ্জের নজরুল ইসলাম গাছীর স্ত্রী।

আকলিমার স্বজনরা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার রোগীকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আল্ট্রাসাউন্ডসহ সব ডাক্তারি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিজার করার পর চিকিৎসক বলছেন যে রোগীর গর্ভে কোনো বাচ্চা ছিল না। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত অপারেশন থিয়েটার ত্যাগ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালের রিপোর্ট রেখে সম্প্রতি করা রোগীর সব রিপোর্ট গায়েব করে দিয়েছে।

প্রসূতির মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘অপারেশনের সময় একবার বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শোনা গেছে। হয়তো বাচ্চাটি তাদের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে। নয়তো চুরি করে কারো কাছে এরা বাচ্চা বিক্রি করে দিয়েছে।’

পাবনা শহরের আলোচিত সেই মডেল হাসপাতাল ও ডায়াগনাস্টিকএবিষয়ে ডা. শাহীন ফেরদৌস শানু বলেন, ‘সিজারের রোগী হিসেবেই অপারেশন করতে গিয়ে দেখি তাদের ২০১৭ সালের কাগজপত্র আছে। কিন্তু আমার আগের রোগী হওয়ায় এবং রোগীর অবস্থা বিবেচনায় অপারেশন করি। কিন্তু কোনো বাচ্চা পাওয়া যায়নি। এটা ভৌতিক গর্ভধারণ ছিল। এটা এক ধরনের রোগ।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে সব কাগজপত্র দেখে ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: