মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পাচ্ছেন রফিকুল ইসলাম মাদানি

অবশেষে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পাচ্ছেন শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানি। ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকেই কারাগারে আছেন তিনি। তবে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে জামিন পেতে যাচ্ছেন তিনি। আদালত ও তার আইনজীবী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, রফিকুল ইসলাম মাদানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাই-বাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই। তবে রফিকুল ইসলাম মাদানি যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
গত বছরের ২৭ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হলফনামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। সম্প্রতি কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম মাদানি হলফনামায় স্বাক্ষর করেছেন।
হলফনামায় তিনি লেখেন, কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং প্রচলিত আইন বিরোধী কোনো বক্তব্য প্রদান করব না। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে ও জনমনে সংঘাতের সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য দেব না।
এ বিষয়ে মাদানির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, ইতোমধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানি কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে হলফনামায় স্বাক্ষর করেছেন। তিনি মুচলেকা দিয়েছেন। ভবিষ্যতে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য তিনি দেবেন না। এই মুচলেকা সম্বলিত আবেদন আমরা শিগগিরই হাইকোর্টে দাখিল করে সব মামলায় জামিন প্রার্থনা করব। আশা করি সব মামলায় জামিনে তিনি কারামুক্ত হবেন।
গত ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। এরপর ৮ এপ্রিল মাদানির নামে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক। এরপর গাজীপুরের বাসন এবং রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: