• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১০ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আদালতে নথি জালিয়াতি: রেকর্ড কিপারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২১:৫১, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আদালতে নথি জালিয়াতি: রেকর্ড কিপারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মামলার নথি রেকর্ড রুম থেকে সরিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরির অভিযোগে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রেকর্ড কিপার-সেরেস্তাদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক জেলা রেকর্ড কিপার রুহুল আমিন ভূঁইয়া, সাবেক জেলা রেকর্ড কিপার হুমায়ুন কবির, ঢাকার ৩য় সহকারী জেলা জজ আদালতের সেরেস্তা সহকারী আবুয়াল আউয়াল, যুগ্ম জেলা জজ ৩য় আদালতের অফিস সহায়ক বিলাল হোসেন, ঢাকার ১ম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার তাহমিনা আক্তার, ১ম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার কামরুজ্জামান, ঢাকার ৩য় সহকারী জজ আদালতের অফিস সহায়ক মহসিন আলী, সুফিয়া বেগম, রাজিয়া খাতুন ও শহিদুল্লাহ আব্দুল মজিদ।

দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান সোমবার সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন মামলার নথি রেকর্ড রুম থেকে সরিয়ে সেখানে জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে তা প্রতিস্থাপন করতো। আদালতের রেকর্ড রুমের চার জন এবং ১ম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার তিনজনের হাতের লেখা সিআইডির পরীক্ষায় মিলে যায়। তারা প্রত্যেকে একে অপরের সহযোগিতায় জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে রেকর্ডপত্রে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তারা দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে সরকারি রেকর্ড তথা দেওয়ানি ৪৫৫/১৯৮০ ও ৫৫০/১৯৮৫ নং মোকদ্দমার নথি ২টির আরজি, আদেশ, রায় ও ডিক্রি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে মূল নথি দুটি রেকর্ডরুম থেকে সরিয়ে জলিয়াতির মাধ্যমে তৈরি নথি দুটি প্রতিস্থাপন করে এবং ১ম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তায় সংরক্ষিত স্যুট রেজিস্ট্রারের সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠাটি পরিবর্তন করে ভিন্ন পাতা সংযোজন করে তারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

ঢাকা জেলা ও দায়রাজজ আদালতের নাজির খাদেমুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া মামলার তদন্তকালে এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও মামলার এজাহারে বলা হয়।

বিভি/এসএমএফ/এইচএস

মন্তব্য করুন: