ভাড়াটিয়া হয়ে পরে বাড়িটিই দখলের মিশন
ভাড়াটিয়া হয়ে পরে বাড়িটিই দখলের মিশন। ব্যর্থ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় বাড়ির মালিককে হয়রানি। রাজধানী মিরপুর কালশী এলাকার গ্রীল ব্যবসায়ি ইউসুফ ভূইয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মমিনুল ইসলাম হৃদয়ের বাবা সাইফুল ইসলাম বিপ্লবের অভিযোগ, কয়েকজন নিরপরাধীকে আসামি করেছেন ইউসুফ। তারপর মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনোওয়ার হুসাইন তামীম।
রাজধানী মিরপুরের কালশীর ডি ব্লকের নয় নম্বর এই বাড়িটির মালিক রফিকুল ইসলাম। ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পৌণে দুকাঠার প্লটটি বরাদ্দ পান তিনি। চাকরির সুবাদে দুবাই যাওয়ার আগে স্থানীয় গ্রীল ব্যবসায়ি ইউসুফ ভূইয়াকে বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্ব দেন ২০১০ সালে। পনেরো বছর পর দেশে ফিরে বাড়িতে উঠতে গেলে বাধা দেন ইউসুফ। দাবি করেন বাড়িটি তার।
এরপর বিভিন্নভাবে চাপে ফেলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে রফিকুল ইসলামকে বাড়িটি ফিরিয়ে দেন ইউসুফ। তবে একের পর এক মিথ্যা মামলায় হয়রান করা হতে থাকে রফিকুল ইসলামকে।
রফিকের মতো আরো অনেকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হয়ে পরে তা দখলের অভিযোগ রয়েছে ইউসুফের বিরুদ্ধে।
সাইফুল ইসলাম বিপ্লব, শহীদ মমিনুল ইসলাম হৃদয়ের বাবা। ১৯জুলাই মিরপুরে বৈষম্য বরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন হৃদয়। সন্তান হারিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিপ্লব। সেই সুযোগে প্রকৃত আসামিদের পাশাপাশি নিরাপরাধ কয়েকজনের নাম মামলায় ঢুকিয়ে দেয় ইউসুফ। পরে নিজের ভূল বুঝতে পেরে আবার আদালতে যান হৃদয়ের বাবা। নিরপরাধীদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন আদালতে।
ইউসুফ ভূইয়া তারপরও মামলায় আসামি বানিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতানোর চেষ্টা চালান। এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউসুফ ভূইয়ার মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি।
এরকম অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এই আইজীবী। বিচার প্রার্থীদের আরো সতর্ক হবার পরামর্শ আইনজীবীদর।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: