সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া নারীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত, গ্রেফতার ১

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রোহান মিয়াকে (২৫) গ্রেফতারসহ ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গ্রেফতার রোহান তারাকান্দা থানার দাদরা এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে। অভিযানে তার কাছ থেকে নিহতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নারী ‘প্রেমের ফাঁদে পড়ে খুন’ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পিবিআই।
এর আগে গত ৩ জুলাই সকাল ১০টার দিকে তারাকান্দা থানার দাদরা গ্রামের গেসু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ, র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই ঘটনাস্থলে যায়।
তদন্তে বেরিয়ে আসে নিহতের নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪)। তিনি ফুলপুর উপজেলার পাতিলগাঁও গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে। এ সংক্রান্তে তার ছোট ভাই ইলিয়াস তারাকান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
অ্যাডিশনাল আইজিপি (পিবিআই) মো. মোস্তফা কামালের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তারের সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ পরিদর্শক ও তার টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্তের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামির পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। গত ৫ জুলাই রাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে ফুলপুর থানাধীন ফুলপুর বেপারী পাড়া এলাকা থেকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি রোহান মিয়াকে গ্রেফতার করে। পিবিআই মামলাটি স্বদ্যোগে গ্রহণ করে।
পিবিআই জানায়, আটক রোহান মিয়া প্রেমের অভিনয় করে সুফিয়াকে ফাঁদে ফেলেন। গত ২৯ জুন রাতে সুফিয়াকে বাজারে ডেকে সেখান থেকে পরিত্যক্ত বাড়িটিতে নিয়ে যান। সেখানে একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি হলে রোহান ওড়না পেঁচিয়ে সুফিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেন। সুফিয়ার কাছে থাকা ৪ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে রোহান পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার জানান, একদিনের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের আসামিকে গ্রেফতার করা এবং আসামির হেফাজত থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পিবিআই এর আভিযানিক টিমের নিরলস প্রচেষ্টা ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখার সহযোগিতায় এটি সম্ভব হলো।
পিবিআই আরও জানায়, আসামি রোহান পূর্বেও এমন হত্যাকাণ্ডজনিত মামলার সাথে জড়িত ছিল বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার ঘটনায় গ্রেফতার আসামির সাথে আরও কারো সম্পৃক্ততা ছিল কি না, এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: