সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হচ্ছে খুলনায়

অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবুর রহমান
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের খুলনা জেলার সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দলকে সংগঠিত করে সরকারকে উৎখাতে ভারতে পলাতক নেতাদের সাথে যোগাযোগ ও একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তিনি ও তার আরও সহযোগীদের নামে এজাহার করতে যাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী।
কেএমপির গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত ২৩ এপ্রিল সোনাডাঙ্গা থানার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় এম এম মুজিবুর রহমানকে। ওই সময় তার মোবাইল চেক করে গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ জুয়েলসহ ৩০/৪০ জনের সাথে মোবাইলে হোয়্যাটসআ্যাপ, টেলিগ্রাম ও জুম এ্যাপসে কথা বলেছেন।
তাদের কথোপকথনে সরকারকে উৎখাত করতে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর পরিকল্পনা করে। যা বাস্তবায়নের জন্য তার একাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়। তার মোবাইল কল রেকর্ড ও অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয় প্রমাণ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
কেএমপি'র দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মামলায় ৫০ জনের মত আসামি হতে যাচ্ছে। সেই সাথে মুজিবুর রহমানের একাউন্টে ৫০ লাখ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়ায় একাউন্টটি ফ্রিজ করা হতে পারে। এদিকে অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী বাংলাভিশনকে জানিয়েছেন, এম এম মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি পাওয়া গেছে। এজাহারের প্রস্তুতি চলছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: