ভারতীয় সিরিয়াল `সিআইডি` দেখে এটিএম বুথ ডাকাতি
সিলেটের ওসমানী নগর থানা এলাকায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম মেশিনের লক ভেঙে ২৪ লক্ষাধিক টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রাজধানী ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজন হলে- শামীম আহাম্মেদ, নূর মোহাম্মদ সেবুল ও আব্দুল হালিম।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ডিএমপি'র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান ডিএমপি'র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুট করা ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি ছুরি, ১টি প্লাস ও মাথায় ব্যবহৃত ৩টি কাপড়ের টুকরা জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া তিনটায় ওসমানী নগর থানার শেরপুর নতুন বাজার হাজী ইউনুস উল্ল্যাহ মার্কেটের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লি. এর নিচ তলায় স্থাপিত ব্যাংকের এটিএম বুথের দায়িত্বরত পাহারাদারকে মারপিট করে হাত ও মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে বেঁধে ফেলে দুস্কৃতিকারীরা। এরপর তারা এটিএম মেশিনের সামনের দরজা ও লক ভেঙে নগদ ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যায়।
ঘটনার পর সিলেটের ওসমানী নগর থানায় একটি মামলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার ছায়াতদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, টাকা লুটের মূল পরিকল্পনাকারী শামীম আহাম্মেদ নিয়মিত ভারতীয় মেগা সিরিয়াল 'সিআইডি' অনুষ্ঠানটি দেখতেন। ওই সিরিয়াল দেখে তিনি এটিএম বুথের এটিএম মেশিন ভাঙার কলাকৌশল রপ্ত করেন এবং টাকা লুটের পরিকল্পনা করেন। পরে পরিকল্পনার বিষয়ে নূর মোহাম্মদ সেবুল ও মো. আব্দুল হালিমদের সংগে আলোচনা করেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা মুখে মাস্ক, মাথায় গোলাপী রংয়ের কাপড় বেঁধে, মাথায় ক্যাপ পরে এবং শাবল ও অন্যান্য যন্ত্রপাতিসহ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের শেরপুর শাখার এটিএম বুথে প্রবেশ করেন।
বুথের সিসি ক্যামেরায় তাদের চেহারা যেন না দেখা যায় সেজন্য কালো রংয়ের স্প্রে করে ক্যামেরার লেন্স ঝাপসা করে দেন। এই সময় তারা এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করেন এবং তার হাত ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে বাঁধে ফেলেন। পরবর্তীতে তারা শাবল দিয়ে এটিএমে বুথের লক ও বক্স ভেঙে টাকা নিয়ে যান।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অন্যান্য থানায় মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভি/এমএস
মন্তব্য করুন: